আপনার নিউজ ডেক্স:- ডাক্তার ছাত্রী মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই বঙ্গে সৃষ্টি হয়ে গেছে রাজনৈতিক লড়াই। শাসক বিরোধী একে অপরের বিরুদ্ধে কথা বলতে শুরু করে দিয়েছে এই বিষয় নিয়ে। বিরোধী দল গুলো তো রীতিমতো এই ঘটনার প্রতিবাদে মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার দেশের সর্বোচ্চ আদালতে আরজি কর মামলার শুনানি চলাকালীন এই নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে সতর্ক করেছে সুপ্রিম কোর্ট। এর পাশাপাশি, আদালত জানিয়েছে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদে বাধা দেওয়া যাবে না।
এদিন আন্দোলনকারী ডাক্তারদের উদ্দেশ্যে প্রধান বিচারপতি বলেন, “চিকিৎসকরা কাজে যোগ দিন। তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা যাবে না।” চিকিৎসকদের কাছে কাজে ফেরার আবেদন জানান প্রধান বিচারপতি। রাজ্যকে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দেন তিনি।
আদালতে রাজ্যের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলেন কেন্দ্রের সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। তিনি বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের এক মন্ত্রী বলেছেন, আমাদের নেতার বিরুদ্ধে কোনও কথা বললে আঙুল কেটে দেব।” রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিব্বল পাল্টা বলেন, “আপনাদের নেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন গুলি চালিয়ে দেব।” দুই পক্ষের বাগ্যুদ্ধ দেখে প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেন, “এই বিষয় নিয়ে রাজনীতি করবেন না। আমরা চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত।”
এর পরেই রাজ্যের আইনজীবীর পক্ষ থেকে বলা হয়,অ্যাসিড বোমা ব্যবহার করার কথা বলছেন শুভেন্দু অধিকারী। প্রধান বিচারপতি বলেন, “আইন নিজের পথে চলবে। আমরা বলে দিয়েছি শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদে বাধা দেওয়া যাবে না।” সব সব পক্ষের উদ্দেশে তাঁর সংযোজন, “আপনারা যদি এ সব পাবলিসিটি ইন্টারেস্ট লিটিগেশন ফাইল বন্ধ করেন, মিডিয়া ট্রায়ালও বন্ধ হয়ে যাবে।”
বৃহস্পতিবার আদালত আরজি কর মামলায় জোড়া নির্দেশ দিয়েছে। বৃহস্পতিবার শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, সিবিআইকে ফের মুখবন্ধ খামে তদন্তের অগ্রগতি সংক্রান্ত স্টেটাস রিপোর্ট জমা দিতে হবে। রাজ্যকে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ, চিকিৎসকদের নিরাপত্তায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে হবে তাদের।