আপনার নিউজ ডেক্স:- “রাজ্যের শাসকদলের ঘনিষ্ঠ, এই তকমা বার বার গায়ে লাগে আমার! অতীতেও বহুবার হয়েছে! না আমি শাসকদলের সদস্য বা কর্মী, না আমি তাদের নেতা মন্ত্রী। না আমি তাদের একনিষ্ঠ সমর্থক। না আমাকে তারা খাওয়া, না পরায়। আমি থাকি তাদের কোনও মিটিং মিছিলে? থাকি না! তা হলে বার বার এই কথা শুনতে হয় কেন?” আরজি কর ঘটনা নিয়ে সামাজিক মাধ্যমের পাতায় লিখলেন পরমব্রত। ১৪ই আগস্ট ‘মেয়েদের রাত দখল’-এর রাতে সস্ত্রীক পথে নামেন অভিনেতা পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়। যদিও বিভিন্ন সময়ই অভিনেতাকে শুনতে হয়েছে তিনি ‘শাসক দলের সমর্থক’।
ঘটনা শুরু থেকে পরমব্রত বলে এসেছেন, সামাজিক আন্দোলনকে রাজনৈতিক আন্দোলনে পরিণত করবেন না। এর ফলে সমালোচনার শিকার হতে হয়েছে অভিনেতাকে। এ বার নিজের তিনি অবস্থান স্পষ্ট করলেন। পাশাপাশি রাজ্যের বিরোধী দলগুলিকে বিঁধতেও ছাড়লেন না। অভিনেতার কথায়, “রাজ্যের বিরোধী দলগুলির সমর্থকরা যদি প্রত্যাশা করেন সবাই তাদের সুরেই গলা মেলাবেন, তা হলে তো ভুল হয়ে যাচ্ছে। প্রত্যেকের ভাবনাচিন্তা তো ভিন্ন ! আমার তো বটেই। আদর্শের জায়গা থেকে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দলের বিপরীত মেরুর লোক আমি। এই পরিস্থিতিতে, আপনাদের সব পক্ষের অনেকগুলি দাবির সঙ্গে আমি সহমত। কিন্তু সব নয়।” আরজি কর-কাণ্ডের যেমন বিচার চেয়েছে সব পক্ষই। অভিনেতা অন্য অনেক পক্ষের উদ্দেশে অনুরোধ করেন, সমালোচনা করার আগে কী বিষয় নিয়ে বলছেন সেটা ভেবে করা উচিত।
এর পাশাপাশি পরমব্রত প্রশ্ন করেছেন তাঁদের কাছে যাঁরা এই মুহূর্তে এক তরফা সমালোচনা করছেন। পরমব্রত লেখেন, “উন্নাওয়ের সময়, হাতরাসের পরে, কিংবা মণিপুরের ঘৃণ্য ঘটনায়, আসিফার মৃত্যুর পর, এমনকি তিন চার দিন আগে মুজাফ্ফরনগরের ঘটনায় এ ভাবে এতটা ফেটে পড়েননি কেন? ওইগুলোও নারকীয়, আরজি করের ঘটনাও তাই। ওগুলির সমর্থনে যুক্তি সাজানোর বা ধামাচাপা দেওয়ার কোনও অবকাশ নেই, ঠিক যেমন আরজি করে ঘটনাতেও নেই। নিরপেক্ষ এবং দ্রুত বিচার ওগুলিতেও দরকার ছিল, এখানেও!”