Type Here to Get Search Results !

সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত রাজ্যের!.নির্দেশ পৌঁছল সব থানায়


আপনার নিউজ ডেক্স:- ২০১১ সালে বাংলায় ক্ষমতায় আসার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের বেকার যুবক-যুবতীদের কর্মসংস্থান বাড়ানোর উদ্দেশ্যে 'সিভিক পুলিশ' নিয়োগ করেন। পরবর্তীতে নাম পাল্টে হয় 'সিভিক ভলেন্টিয়ার'। তবে বারংবার এই সিভিক ভলেন্টিয়ারদের নিয়ে নানা অভিযোগ শোনা যায়। আরজি কর নিঃসংশ হত্যাকাণ্ডের অভিযোগে ধরা পড়েছেন এক সিভিক ভলান্টিয়ার। এবার সব দিক বিচার করে সিভিক ভলেন্টিয়ারদের নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য। 

নবান্নের নির্দেশে কলকাতা পুলিশে কর্মরত সমস্ত সিভিক ভলান্টিয়ারদের সম্পর্কে জোড়া তথ্য তলব করল লালবাজার। সেই নির্দেশে বলা হয়েছে, সিভিক ভলান্টিয়ারদের সম্পর্কে মূলত দু’টি তথ্য জানাতে হবে— এক, অতীতে তাঁদের কোনও অপরাধের নজির আছে কি না, দুই, তাঁদের চারিত্রিক কোনও দোষ রয়েছে কি না। পুরুষ-মহিলা— উভয় সিভিক ভলান্টিয়ারদের তথ্য জানাতে বলা হয়েছে। হোমগার্ড সম্পর্কেও খোঁজ খবর করে তথ্য জানাতে নির্দেশ। কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর, তেমনই পরিস্থিতিতে নবান্ন থেকে নির্দেশ পাওয়ার পরেই এ বিষয়ে নড়েচড়ে বসেছে কলকাতা পুলিশের সদর দফতর। তড়িঘড়ি কলকাতার সব থানাকে তাদের অধীনে কর্মরত সিভিক ভলান্টিয়ারদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সদর দফতরে পাঠাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে বলা হয়েছে, সিভিক ভলান্টিয়ারদের শিক্ষাগত যোগ্যতা থেকে শুরু করে তাদের কাজের মূল্যায়নও তুলে ধরতে হবে রিপোর্টে।

সিভিক ভলান্টিয়ার হিসাবে কাজ করতে গিয়ে কারও বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ উঠেছে কি না, সেই তথ্য জানাতে হবে ওই রিপোর্টে। এমনকি ওই সিভিক ভলান্টিয়ার কোনও নেশা করেন কি না, তা-ও রিপোর্টে উল্লেখ করতে হবে। প্রসঙ্গত, ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে নেশা করার অভিযোগ ওঠায় কলকাতা পুলিশের সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগ নিয়েও বড়সড় প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। নবান্নের নির্দেশে তাই এ বার সিভিক ভলান্টিয়ারদের যাবতীয় তথ্য নিজেদের হাতে পেতে চাইছে লালবাজার। 

Tags

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad

Top Side