মেদিনীপুর:- তরুণী চিকিৎসকে ধর্ষণ করে হত্যার ঘটনায় শুক্রবার রাজ্যে ১২ ঘন্টার ডাক দিয়েছিল এসইউসিআই। সকাল থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে এসইউসিআই সমর্থকদের সাথে সংঘর্ষ বাধে পুলিশ প্রশাসনের। সকালে কোচবিহার, রায়গঞ্জে বন্ধ সমর্থকদের সাথে কথা কাটাকাটি হয় পুলিশের। এবার মেদিনীপুর কলেজের অদূরে পুলিশের সঙ্গে এসইউসিআই কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তাতে দু'পক্ষের বেশ কয়েকজন জখম হয়েছেন বলে স্থানীয় সূত্রের খবর।
ঘটনায় মেদিনীপুর কোতওয়ালী থানার এক আধিকারিক গুরুতরভাবে আহত হন। মেদিনীপুর মেডিক্যালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তাঁকে। হামলার ঘটনায় এসইউসিআইয়ের বেশ কয়েকজন কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অন্যদিকে পুলিশের বিরুদ্ধেই শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে হামলার অভিযোগ এনেছেন এসইউসিআই কর্মীরা। গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে এদিন সকালে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে মেদিনীপুর কলেজ সংলগ্ন এলাকায়।
বনধকে ঘিরে বৃহস্পতিবার নবান্নের তরফে এক নির্দেশিকায় সরকারি কর্মীদের জানানো হয়, শুক্রবার সরকারি কর্মচারীদের কেউ ছুটি নিতে পারবেন না, বাধ্যতামূলকভাবে অফিসে আসতে হবে। বিজ্ঞপ্তিতে একথাও জানানো হয়েছে, কেউ ছুটি নিলে তাঁর চাকরি জীবন থেকে একদিন কাটা যাবে। পরিবহণ দফতরের তরফেও নির্দেশিকা জারি করে শুক্রবার সকাল ৬ টা থেকে সন্ধেয় ৬টা পর্যন্ত রাস্তায় যান চলাচল স্বাভাবিক রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। যদিও জলপাইগুড়ি-সহ উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলায় বন্ধ রয়েছে বেসরকারি বাস চলাচল।
এমন আবহে সকাল থেকেই জেলায় জেলায় বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর সামনে আসছে। এদিন কোচবিহারের দিনহাটা ও মাথাভাঙায় পুলিশ মিছিল আটকাতে গেলে এসইউসিআই কর্মীদের সঙ্গে বচসা বেঁধে যায়। পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করাহয়।