প্রেমের প্রস্তাবে প্রত্যাখ্যান, ২৯ বছর বয়সী যুবকের হাতে আক্রান্ত ১৩ বছরের নাবালিকা,পাথর দিয়ে মাথায় আঘাত, গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নির্যাতিতা, সিসিটিভি ফুটেজের সাহায্যে ঘটনার ছয় ঘন্টার মধ্যে পুলিশের জালে অভিযুক্ত
মালদা; তনুজ জৈন:- ২৯ বছর বয়সী এক যুবক ১৩ বছর বয়সী এক নাবালিকাকে দীর্ঘদিন ধরেই ফলো করতো। বুধবার সন্ধ্যা রাত্রি নাগাদ ওই নাবালিকা দাদুর বাড়ি যাওয়ার পথে তাকে প্রেমের প্রস্তাব দেয় ওই যুবক।সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করার পরে যুবকের রোশের মুখে নাবালিকা। ভারী পাথর দিয়ে মাথায় আঘাত। গুরুতর আহত অবস্থায় মালদা মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসাধীন ওই নাবালিকা।
সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে অভিযুক্তর পোশাকের রং চিহ্নিত করে ঘটনার ৬ ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য।পুলিশ সূত্রে জানা গেছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার অন্তর্গত মালিপাকর এলাকার নাবালিকাকে বেশ কিছু দিন ধরেই নজরে রেখেছিল দৌলতপুর বাজার এলাকার যুবক আব্দুর রহমান।
গতকাল সন্ধ্যে নাগাদ ওই নাবালিকা তার দাদুর বাড়ির উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল।সেই সময় রাতুয়া মাঠ সংলগ্ন এলাকায় রেললাইনের ধারে নাবালিকাকে প্রেমের প্রস্তাব দেয় অভিযুক্ত।সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলেই তার উপরে চড়াও হয় আব্দুর রহমান। পাথর দিয়ে আঘাত করা হয় মাথায়। ঘটনাস্থলেই রক্তাক্ত হয়ে লুটিয়ে পড়েন নাবালিকা।সেখান থেকে চম্পট দেয় অভিযুক্ত। আশেপাশে উপস্থিত স্থানীয়রা নাবালিকাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে।গুরুতর আহত অবস্থায় নির্যাতিত ওই নাবালিকা এখন মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এদিকে ঘটনার খবর পেতেই ঘটনাস্থলে পৌছায় ভালুকা ফাঁড়ি এবং হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে শুরু হয় তদন্ত। ৬ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার হয় অভিযুক্ত আব্দুর রহমান। সমগ্র ঘটনা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ। বৃহস্পতিবার অভিযুক্তকে পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানিয়ে চাঁচল মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়েছে।