Type Here to Get Search Results !

Malda: ক্রমাগত নদী ভাঙনের প্লাবনের আশঙ্কা ভূতনি চড়ে

 


পরিতোষ সরকার; আপনার নিউজ:- ক্রমাগত নদী ভাঙনের প্লাবনের আশঙ্কা ভূতনি চড়ে। বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে নদী ভাঙ্গনের ফলে বাঁধ তলিয়ে গেছে। মাত্র কিছুটা জল স্তর বারলেই ভূতনির তিনটি অঞ্চল জলের তলায় যাবে। জল যন্ত্রনায় ভুগবে প্রায় দেড় লক্ষ মানুষ। প্লাবনের এই আশঙ্কাকে কেন্দ্র করে তৎপরতা দেখালো প্রশাসন। বাঁধ তলিয়ে যাওয়া এলাকা জুড়ে প্রশাসনের তরফের শুরু করা হয়েছে রিং বাঁধ তৈরি করার কাজ। মহকুমা শাসকের নির্দেশে শেষ দপ্তর তোড়জোড় শুরু করেছে রিং বাঁধ তৈরি করতে। আপৎকালীন পরিস্থিতিতে এই রিং বাঁধ তৈরি করা হবে বলে জানা যাচ্ছে প্রশাসন সূত্রে।


এলাকার বাসিন্দাদের সাথে কথা বলে তাদের জমির উপর দিয়েই এই রিং বাঁধ তৈরি করতে চলেছে প্রশাসন। তবে জমির ওপর দিয়ে ঋণবাদ তৈরি হলে জমিতে লাগানো ফসলের ক্ষতি হবে তাই প্রশাসনের কাছে ক্ষতিপূরনেরও দাবি তুলেছে এলাকার বাসিন্দারা। ফসলের ক্ষতি হলে প্রশাসন সেই বিষয়ে নজর দিয়ে ক্ষতিপূরণের অস্বাস দিয়েছে মহকুমা শাসক পঙ্কজ তামাং।

মালদার মানিকচকের ভুতনি চরের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে গঙ্গা নদীর পাড়ে ভাঙল চলছে। এই ভাঙ্গনে তলিয়ে গেছে বাঁধের অবশিষ্ট অংশ। আর বাদ তলিয়ে যাওয়া এলাকা দিয়েই জল ঢুকতে শুরু করবে গোটা ভুতনি চড় জুড়ে। এমনই আতঙ্কে রয়েছে এলাকার বাসিন্দারা। কোটি কোটি টাকার খরচ করে যে কাজ করা হয়েছিল সেই কাজ আজ জলের তলায়। তবে আতঙ্কিত মানুষদের প্লাবনের আশঙ্কা থেকে বাঁচাতে জেলা প্রশাসনের নির্দেশে তৈরি করা হবে রিং বাঁধ। জমি জোট কাটিয়ে জোর কদমে এই কাজ করা হবে বলে জানিয়েছে মহকুমা শাসক পঙ্কজ তামাং।


অন্যদিকে ভাঙ্গনের এমন পরিস্থিতিকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরযাও। কেন্দ্রের উদাসীনতাকে দায়ী করেছে রাজ্যের শাসকদলের জনপ্রতিনিধিরা। গঙ্গা জাতীয় বিপর্যয় আর এই বিপর্যয় আটকাতে কেন্দ্র সরকারের বিন্দুমাত্র হস্তক্ষেপ নেই বলেই দাবি করছেন রাজ্যের শাসক দলের জনপ্রতিনিধি সহ তৃণমূল নেতৃত্ব।

বর্ষা আসলে ভাঙ্গনের কাজের নামে কেবলমাত্র মানুষের সাথে প্রতারণা করে এই রাজ্য সরকার বলে অভিযোগ তুলছে বিজেপি নেতৃত্ব। কোটি কোটি টাকার কাজ দুর্নীতি হওয়ার কারণে জলের তলায় চলে গেছে। আর এখন আপৎকালীন পরিস্থিতিতে আবারো কোটি কোটি টাকার কাজ করে সে টাকা সেচ দপ্তরের আধিকারিকদের যোগসাজযোগে নিজেদের পকেট ঢুকবে তৃণমূলের নেতারা বলেই অভিযোগ বিজেপি নেতৃত্বের।


যদিও কি রিং বাঁধ করে বন্যার হাসতে হাত থেকে ভুতনিকে বাঁচাতে পারবে প্রশাসন! সেই প্রশ্নের উত্তরে স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, এখন এই কাজ করে কোনোভাবেই ভাঙ্গন এবং প্লাবন আটকানো সম্ভব নয়।



Tags

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad

Top Side