আপনার নিউজ; ইসলামপুর:- গত ১৩ই জুলাই শ্রীকৃষ্ণপুর এলাকায় ৩১ নাম্বার জাতীয় সড়কের পাশে ভর সন্ধ্যায় একটি ধাবায় ঢুকে ওই তৃণমূল নেতাকে গুলি করে খুন করেছিল ৩ দুষ্কৃতী। সমস্ত ঘটনা ঘটেছিল সিসিটিভি ক্যামেরার সামনে। ৩ দুস্কৃতি এসে এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়ে যাওয়ার পরিষ্কার ফুটেজ পুলিশে হাতে আছে। তবুও অধরা ওই দুষ্কৃতিরা। নিহত তৃণমুল কংগ্রেস নেতা বাপী রায়ের পরিবার আর আস্থা রাখতে পারছে না পুলিশি তদন্তে। রিতীমতো ক্ষোভ প্রকাশ করে সিবিআই তদন্ত করানোর জন্য আদালতে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে পরিবার। পুলিশের তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে তুলছে প্রশ্ন।
১৩ ই জুলাই সন্ধ্যায় শ্রীকৃষ্ণপুরে একটি ধাবায় ইসলামপুর পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যার স্বামী বাপী রায় তৃণমুল কংগ্রেসের স্থানীয় নেতাদের সাথে আলোচনায় বসেছিলেন। আলোচনায় ছিলেন রামগঞ্জ ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ও উপ প্রধানের স্বামী সহ জনা দশেক স্থানীয় তৃনমুল কংগ্রেস নেতৃত্ব ও গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য। আচমকা সেখানে ৩ স্বসস্ত্র দুষ্কৃতকারী এসে আক্রমন চালায়। এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে চালাতে প্রবেশ করে দুষ্কৃতিরা। তবে তাদের মুল লক্ষ্য ছিল বাপী রায়। বাপী রায়ের শরীর গুলিতে ঝাঝড়া করে দেয় তারা। ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয় রামগঞ্জ ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের স্বামী সাজ্জাদ হুসেন। ঘটনাস্থলেই মারা যায় বাপী রায়।
ঘটনায় পুলিশি তদন্তে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বাপী রায়ের পরিবার। তাদের ধারনা পরিকল্পিত ভাবে খুন করা হয়েছে বাপীকে। কোনও প্রভাবশালীর হস্তক্ষেপে ঘটনা ধামা চাপা দিতে চাইছে পুলিশ।
পরিবারের প্রশ্ন
ঘটনার দিন বাপীকে ফোন করে ওই ধাবায় ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। পুলিশ সেই ব্যক্তিকে কেনও খোজ করছে না?
বাপী রায় ধাবায় এসে বসেছে সেই খবর নিশ্চই ওই আলোচনা স্থলে থাকা কেউ খুনীদের জানিয়েছিল। পুলিশ কেনও সেই বক্তির খোজ করলো না? কেন আলোচনায় থাকা তৃণমুল নেতাদের বাজেয়াপ্ত করলো না পুলিশ?
খুনের পরে বিধাননগর থেকে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। যদি এই খুনে বিধাননগর যোগ থাকে তবে বাপীর বিধাননগরের মুল পরিচিতদের কেনও ধরছে না পুলিশ? কেনও শুধুমাত্র একজন গ্রেফতার হলো ঘটনায়। খুন করতে আসা দুষ্কৃতিরাই বা কোথায় গেলো? সিসিটিভিএ ফুটেজে তাদের পরিষ্কার ছবি থাকা সত্বেও কেন পুলিশ খুনীদের কাউকে গ্রেফতার করতে পারলো না?
এই ধরনের একাধিক প্রশ্ন নিয়ে সিবিআই তদন্তের জন্য আদালতের দারস্থ হওয়ার পরিকল্পনা করছে মৃত বাপী রায়ের পরিবার।