Type Here to Get Search Results !

অপরাধের সাথে জড়িত একাধিক! দাবি ফরেন্সিক মেডিসিনের ডাক্তারদের! তবে কাদের আড়াল করার চেষ্টা হচ্ছে?



আপনার নিউজ ডেক্স:- আরজি কর হাসপাতালে নৃশংস হত্যাকাণ্ডে উত্তাল রাজ্য। ইতিমধ্যে অপরাধীদের কঠোর শাস্তির পক্ষে সওয়াল করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তদন্তে নেমে প্রাথমিকভাবে পুলিশ জানিয়েছে গ্রেফতার হওয়া যুবকই একমাত্র অভিযুক্ত। তবে এবার সেই বিষয়ে উঠল প্রশ্ন। একাধিক অভিজ্ঞ ডাক্তারবাবুদের মতে এই কাজ একজনের নয়। এর সঙ্গে জড়িত একাধিক। আর এই বিষয়ে যুক্তি যুক্ত ব্যাখ্যা দিয়েছেন অভিজ্ঞ ডাক্তারেরা। 


এই বিষয়ে কলকাতার একটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ফরেন্সিক মেডিসিনের এক চিকিৎসক বলেন, ‘‘অপরাধের ধরন এবং একাধিক আঘাতের চিহ্ন থেকে পরিষ্কার, তরুণীর উপরে

দীর্ঘ সময় ধরে নির্যাতন চালানো হয়েছিল। সে ক্ষেত্রে তরুণী স্বাভাবিক ভাবে চিৎকার-চেঁচামেচি বা বাধা দেওয়ার চেষ্টা করবেন। এক জন এই ঘটনা ঘটালে তরুণী হয়তো চিৎকার করতে সক্ষম হতেন। কিন্তু তিনি তা করতে পারেননি। তাই একাধিক জন জড়িত বলে প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে।’’


সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুসারে প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, মৃতার দেহে ১১টির বেশি জায়গায় আঘাতের চিহ্ন ছিল। মিলেছে চোখ এবং মুখ থেকে রক্তপাতের প্রমাণও। আঘাতের চিহ্ন ছিল বাঁ পা, পেট, হাত, ঘাড়-সহ আরও একাধিক জায়গায়। একাধিক বার ধর্ষণ করা হয়েছিল তাঁকে। একজন ব্যক্তির এই কাজ কিভাবে সম্ভব এই প্রশ্নের উত্তর এখন খুঁজছে সকলেই। 


শনিবার সাংবাদিক সম্মেলনে একাধিক প্রশ্নের উত্তর পুলিশকর্তারা কার্যত এড়িয়ে গিয়েছেন। তাঁদের বক্তব্য, ধর্ষণ এবং খুনের মতো সংবেদনশীল ঘটনায় সমস্ত কিছু প্রকাশ করা যাবে না। যদিও এই সংবেদনশীল ঘটনার প্রতিবাদে আন্দোলনে নামা চিকিৎসকদের ঠেকাতেই পুলিশকে দেখা গিয়েছে মারমুখী মেজাজে। টেনেহিঁচড়ে, লাঠিপেটা করে, চুলের মুঠি ধরে ঘটনাস্থল থেকে আন্দোলনকারীদের অনেককেই সরিয়েছে পুলিশ। প্রশ্ন উঠছে, এমন একটি ঘটনার প্রতিবাদে আন্দোলনে নামা কাউকে কি পুলিশ এই ভাবে মারতে পারে? 


শনিবার স্থানীয় সূত্রে জানা যায় অভিযুক্ত কলকাতা পুলিশের একজন সিভিক ভলেন্টিয়ার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। যদিও এই বিষয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে প্রশ্ন করা হলে পুলিশ কর্তাদের তরফ থেকে সৎ উত্তর পাওয়া যায়নি। পুলিশ কর্তারে জানিয়েছিলেন, ‘‘আমাদের কাছে ঘৃণ্য একটা ঘটনার অপরাধী ছাড়া ধৃতের আর কোনও পরিচয় গুরুত্বপূর্ণ নয়।’’ যদিও নির্যাতিতার পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করে মৃতার বাবা জানান,‘শুক্রবার সকালে পুলিশ আমাদের ফোন করে বলেছিল, আপনার মেয়ে আত্মহত্যা করেছেন, দ্রুত চলে আসুন। অথচ আমরা হাসপাতালে গিয়ে দেখি, অর্ধনগ্ন অবস্থায় ওর মৃতদেহ পড়ে আছে। গায়ে একাধিক মারের ছাপ স্পষ্ট। যার কোনওটাই আত্মহত্যা করলে হয় না। পরে ময়না তদন্তের রিপোর্ট শুনে বুঝলাম, পুলিশ কতটা ভুল খবর দিয়েছিল।’’ পুলিশ কেন আত্মহত্যার দাবি করেছিল? পুলিশ কর্তাদের কেউই এই বিষয় নিয়ে মন্তব্য করতে চাননি।


Tags

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad

Top Side