Type Here to Get Search Results !

বাংলাদেশী শরণার্থীদের জায়গা দেওয়া হবে না! জানিয়ে দিলো মোদি সরকার



আপনার নিউজ ডেক্স:-
শেখ হাসিনা পদত্যাগ করার পর থেকেই উত্তাল হয়েছিল বাংলাদেশ। নানান মহল থেকে অভিযোগ করছিল দেশটিতে সংখ্যালঘুদের ওপরে নির্বিচারে অত্যাচার করা হচ্ছে। যদিও এ বিষয়ে করা নজর রেখেছিল নয়া দিল্লি। বর্তমানে বৃষ্টি দায়িত্ব নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। তবুও রোজ ভারতে প্রবেশ করার জন্য শত শত শরণার্থী ভিড় জমাচ্ছে ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্তে। তবে বাংলাদেশী শরণার্থীদের জন্যে ভারতের দরজা খুলতে নারাজ কেন্দ্র সরকার। বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব বাংলাদেশে আক্রান্ত হিন্দু শরণার্থীদের ভারতে আশ্রয় দেওয়ার জন্য সওয়াল করলেও, সাউথ ব্লক এই মুহূর্তে এমন কোনও পদক্ষেপ করতে রাজি নয়, যাতে নতুন সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক গোড়াতেই তিক্ত হয়ে ওঠে।


গণ আন্দোলনে ৫ই আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পরেই বঙ্গ বিজেপি অন্যতম নেতৃত্ব তথা বিধানসভার বিরোধী তর নেতা শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেছিলেন, উদ্ভূত অশান্তির ফলে এক কোটি শরণার্থী পালিয়ে এ দেশে, বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গে চলে আসতে পারেন। বিজেপি নেতাদের মতে, এই শরণার্থীদের অধিকাংশই হিন্দু। বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্যও বাংলাদেশের অত্যাচারিত হিন্দুদের পাশে মানবিক মুখ নিয়ে দাঁড়ানোর কথা বলেছেন। বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের বক্তব্য, যদি কোনও হিন্দু ধর্মীয় উৎপীড়নের কারণে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে ভারতে, বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গে চলে আসতে বাধ্য হন, সে ক্ষেত্রে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনে (সিএএ)-তে তাঁদের নাগরিকত্ব দেওয়ার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।


সূত্রের খবর, ভারত বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্ত কেবলমাত্র হিন্দুরা শরণার্থী হিসেবে ভারতের প্রবেশ করতে চাইছে এমনটা নয়। বৃষ্টি থেকে প্রচুর পরিমাণে মুসলিম জনগণ-ও ভারতে প্রবেশের ইচ্ছা প্রকাশ করেছে। এমত অবস্থায় ভারত সরকার করা পদক্ষেপ নিয়েছে। কোন প্রকার শরণার্থী কিংবা অনুপ্রবেশ মেনে নেবে না মোদি সরকার। কিন্তু রাজ্যে হিন্দু ভোটের মেরুকরণের লক্ষ্যে বিজেপি শরণার্থীদের পাশে দাঁড়ালেও কার্যত বিপরীতমুখী অবস্থান নিয়েছে নয়াদিল্লি। আজ বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘‘যে কোনও সরকারের দায়িত্ব হল তাদের নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। এ ক্ষেত্রেও বাংলাদেশ সরকারের দায়িত্ব হবে সবার আগে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে শরণার্থীদের মনে আস্থা ফেরানো।’’ এই মুহূর্তে যদি বাংলাদেশ থেকে হিন্দুদের এ দেশে চলে আসার ঢল নামে, তা হলে কোনও ভাবেই সীমান্ত খুলে দেওয়া হবে না বলে অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছে সাউথ ব্লক।


সূত্রের খবর, বাংলাদেশে ছাত্র আন্দোলন কিংবা পরবর্তী সময়ে গণ আন্দোলনকে সমর্থন দিয়েছে নয়া দিল্লি। নয়াদিল্লি শুরু থেকেই বলে এসেছে যে, তারা জনতার স্বার্থকেই অগ্রাধিকার দেবে। বাংলাদেশে আজই অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা শপথ নিয়েছেন এবং ভবিষ্যতে সেখানে নির্বাচনও হবে। এই আবহে প্রতিবেশী দেশ থেকে লক্ষ লক্ষ শরণার্থীর ভারতে চলে আসাটা নয়াদিল্লির কাম্য নয়। তাই ভারত চাইছে, দ্রুত যেন বাংলাদেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে ওঠে।


Tags

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad

Top Side