আপনার নিউজ ডেক্স:- দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে চলে ছাত্রদের কোটার বিরুদ্ধে আন্দোলন এক সপ্তাহ ধরে অগ্নিগর্ভ রূপ নিয়েছে বাংলাদেশ। এই আন্দোলনে ইতিমধ্যেই নিহত হয়েছে ১০৫ জন। দেশটিতে বর্তমান অচলাবস্থা বিরাজ করছে। কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে হিংসা ঠেকাতে শুক্রবার রাতেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার কার্ফু জারি করে সেনা তলব করেছিল। গভীর রাত থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন রাস্তায় নেমে পড়ে বাংলাদেশ সেনার সাঁজোয়া ব্রিগেড। হাসিনা সরকার চাইছে যে কোন উপায়ে এই আন্দোলন দমন করতে।
ইতিমধ্যেই বৃহস্পতিবার থেকে দেশটিতে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করা হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে। যার জেরে গোটা বিশ্বের থেকে কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে বাংলাদেশ। সংরক্ষণ সংস্কারের দাবিতে বিক্ষোভের ঝাঁজ শুক্রবার আরও বেড়ে গিয়েছিল। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে এখনও পর্যন্ত বাংলাদেশে ১০৫ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা এএফপি। বিরোধী বিএনপি এবং নিষিদ্ধ জামাতের সশস্ত্র কর্মীরা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে মিশে পুলিশের উপর হামলা চালিয়েছে বলেও অভিযোগ হাসিনা সরকারের। এই অবস্থায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা সেনার ‘বড় চ্যালেঞ্জ’ বলেই মনে করা হচ্ছে।
শনিবার সকাল থেকে দেশটির রাজধানী ঢাকার চেহারা বদলে গিয়েছে। রাস্তাঘাট একেবারে জনমানব শূন্য, রাস্তায় রাস্তায় টহল দিচ্ছে সেনা। কার্ফুর মাঝে বাড়ি থেকে বেরোচ্ছেন না কেউ। ফলে গত কয়েক দিন ধরে কোটা সংস্কারের দাবিতে যে ছাত্রবিক্ষোভ চলছিল বাংলাদেশ জুড়ে, শনিবার তার ছবি কিছুটা হলেও বদলে গিয়েছে। আগামী রবিবার পর্যন্ত বাংলাদেশে কার্ফু চলবে। তার পর পরিস্থিতি বুঝে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন প্রধানমন্ত্রী হাসিনা।