আপনার নিউজ ডেক্স :- আবার দিনে দুপুরে ডাকাতি ঘটনা ঘটলো মালদা জেলায়। মালদহের গাজোলে একটি সমবায় ব্যাঙ্কে হানা দিল সাত-আট জনের দুষ্কৃতীদল। ডাকাতিতে বাধা দেওয়ায় দুষ্কৃতীরা গুলি করে ব্যাংকের হিসাব রক্ষক কে। এই ঘটনা জেরে যান চলো সৃষ্টি হয়েছে এলাকায়। ঘটনার খবর পেয়ে গাজোল থানার বিশাল পুলিশবাহিনী পৌঁছায় ঘটনাস্থলে।
এদিন গাজোলের কেষ্টপুর সমবায় সমিতির ব্যাঙ্কে এই ডাকাতির ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সূত্রে খবর, সাত-আট জন হাতে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ব্যাঙ্কে ঢোকেন। তাঁদের আটকাতে গিয়ে গুলি লাগে হিসাবরক্ষক যোগেশ্বর মণ্ডলের। তাঁর পেটে গুলি লেগেছে বলে খবর। তাঁকে গাজোল স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় প্রথমে। পরে তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। যোগেশ্বরের বাড়ি শিক্ষকপল্লি এলাকায়। পুলিশ সূত্রে খবর, প্রায় সাত-আট লক্ষ টাকা নিয়ে চম্পট দিয়েছে ডাকাতদল।
ব্যাংক কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ জানতে পেরেছে, এদিন দুপুর আড়াইটা নাগাদ সাত থেকে আটজনের সশস্ত্র একটি দুষ্কৃতির দল আচমকায় কৃষ্ণপুর সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির ব্যাংকে ঢুকে পড়ে। তাদের অধিকাংশের হাতেই ধারালো অস্ত্র এবং বন্দুক ছিল । মুখ কাপড়ে ঢাকা ছিল । প্রত্যকের চোখে কালো চশমা ছিল। বেশিরভাগ দুষ্কৃতিরায় হিন্দি ভাষায় কথা বলছিল। এরপরই ব্যাংকের টাকা লুঠ শুরু করতেই বাধা দেয় ক্যাশিয়ার যোগেশ্বরবাবু । তখন তাকে গুলি করে দুষ্কৃতীরা। গুলির বিকট শব্দে রীতিমতো হৈচৈ পড়ে যায়। মুহূর্তের মধ্যে দুষ্কৃতীরা প্রায় ৬ লক্ষ্য টাকা লুঠ করে । এরপরে আশেপাশের লোকজন ছুটে আসে। দুষ্কৃতীরা পালাবার সময়ও শূন্যে গুলি ছুঁড়ে বলে অভিযোগ।
এই বিষয় সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের সুপারভাইজার অনিতা সরকার বলেন, সাধারণ গ্রাহকেরাও প্রতিদিনই এখানে টাকা জমা দিতে আসেন। এই ব্যাংকে প্রতিদিনই অনেক টাকা লেনদেন হয়। এমন ঘটনা কোনদিন আগে ঘটে নি। যারা ডাকাতি করেছে, তারা হিন্দি ভাষায় কথা বলছিল। আমার মাথায় বন্দুক ঠেকিয়েই মারমুখী হয়েছিল। প্রাণভয়ে আমরা সবাই হাত তুলে দাঁড়িয়ে ছিলাম। এরই মধ্যে ব্যাংকের ক্যাশিয়ারকে গুলি করে দুষ্কৃতীরা। তারপর এই ব্যাংক থেকে ছয় লক্ষ টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়।