দত্তপুকুর:- গতকাল বিকট বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছিল গোটা এলাকা সরকারি হিসেব মতো প্রায় ৮ জন ব্যক্তি মারা গেছেন এই বাজি বিস্ফোরণ কান্ডে। অবশেষে ২৪ ঘন্টার মধ্যেই তল্লাশি জ্বালিয়ে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা যায় গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তির নাম শফিক, এই ব্যক্তি কেরামত আলীর সাথে এই বাজি ব্যবসা অংশীদার ছিলেন। রাতভর তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ প্রায় 200 কেজি শব্দবাজি প্রস্তুতকারী বস্তু উদ্ধার করেন।
রাজ্যে পরপর বাজি বিস্ফোরণ কান্ডে বহু মানুষের প্রাণ গেছে, রাজ্যে বেআইনি বাজি কারখানা গুলো কিভাবে প্রশাসনের নাকের ডগায় চলছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে সাধারণ জনগণ। এই ঘটনায় কেরামত আলী মূল অভিযুক্ত বলে মনে করা হচ্ছে। দত্তপুকুরের এই বাজে বিস্ফোরণ কেরামত আলী সহ তার পুত্ররা মারা গিয়েছেন বলে একাংশ মনে করলেও আবার কিছু ব্যক্তি মনে করছেন কেরামত আলীর নির্দিষ্ট কোন সন্ধান নেই, তিনি বাইরে হয়তো কোথাও পালিয়ে গেছেন।
প্রসঙ্গত, গতকাল সকালে দত্তপুকুর এলাকায় এই বিস্ফোরণ ঘটে, বিস্ফোরণের তীব্রতা এত ছিল যে সেই এলাকার প্রায় ১০০ থেকে ১৫০ বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং বিস্ফোরণ স্থলের দোতলা বাড়িটি ধূলিসাৎ হয়ে যায়। এই বিস্ফোরণ কান্ডে রাজ্যের আইন ব্যবস্থার দিকে আঙ্গুল তুলেছেন বিজেপি নেতৃত্ব। দিনের পর দিন কিভাবে রাজ্যে অবৈধভাবে বাজি কারখানা গুলো চলছে তা নিয়ে প্রশ্ন করেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন প্রশাসন সবকিছু জেনে বুঝেও এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না এর ফলে মাঝেমধ্যে এরকম দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হচ্ছে সাধারন মানুষকে। অবশ্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন এই ঘটনা দোষীদের চিহ্নিত করে উপযুক্ত আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে একটাই প্রশ্ন রাজ্যে ক্রমাগত দিনের পর দিন এই ধরনের বাজি বিস্ফোরণের দ্বায়িত্ব রাজ্য প্রশাসনকে এড়িয়ে যেতে পারে? অবিলম্বে এ ধরনের অবৈধ বাজি কারখানা গুলো প্রশাসন চিহ্নিত করে তা বন্ধ করার ব্যবস্থা করুক বলেই দাবি জানিয়েছে সাধারণ জনগণ।