এবার জমি মাফিয়াদের গ্রাসে পাঁচ একরের সরকারি বিল, পাট্টা করে সেই বিল রেকর্ড হয়ে গেছে কয়েকজন ব্যক্তির নামে, সেখানেই চলছে চাষ, জলাভূমি দখলমুক্ত করতে এলাকাবাসী অভিযোগ করার পর ভূমি দপ্তর তদন্তে আসতেই উত্তপ্ত পরিস্থিতি, দখলকারীদের সঙ্গে হাতাহাতি এলাকাবাসীর, পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে ধাক্কা ধাক্কির মুখে তৃণমূলের স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য, সাফাই তৃণমূলের, খোঁচা বিজেপির।
মালদা;তনুজ জৈন;২১মার্চ: এবার জমি মাফিয়াদের গ্রাসে পাঁচ একরের সরকারি বিল।সরকারি সেই বিল পাট্টা করে রেকর্ড হয়ে গেছে কয়েকজনের নামে। সেখানেই দখলদারি করে চলছে মাখনা চাষ। এলাকাবাসী বিল বাঁচাতে ভূমি দপ্তর অভিযোগ করার পর ভূমি দপ্তর তদন্তে আসতেই উত্তপ্ত পরিস্থিতি। দখলকারীদের সঙ্গে হাতাহাতি এলাকাবাসীর। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে ধাক্কাধাক্কি করা হলো তৃণমূলের স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যকেও।সমগ্র ঘটনা সামনে আসতেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। বিজেপির অভিযোগ এই বিল দখলের জন্য মোটা টাকা গেছে তৃণমূল নেতাদের কাছে। যদিও এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে তৃণমূলের দাবী প্রশাসন তদন্ত করে যেটা ন্যায্য সেটাই পদক্ষেপ নেবে। মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর থানার কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েতের গাররা এলাকার ঘটনা। ওই এলাকায় রয়েছে পাঁচ একরের একটি সরকারি বিল। সেই বিলের জল এলাকার মানুষ দীর্ঘদিন ধরে কৃষিকাজে ব্যবহার করে। কিন্তু সম্প্রতি জানা যায় পার্শ্ববর্তী এলাকার কয়েকজন ব্যক্তির নামে সেই বিল পাট্টা করে রেকর্ড হয়ে গেছে।তারা ধীরে ধীরে বিলের জল কমতে শুরু করলে একাংশে ধান চাষ শুরু করে। সেই ভাবে বর্তমানে সম্পূর্ণ বিল প্রায় দখল করে চলছে মাখনা চাষের চেষ্টা। ওই এলাকার মানুষ ভূমি দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। এদিন ভূমি দপ্তরের কর্তারা তদন্তে আসে।সেই সময় মাপযোগ শুরু হলেই বেধে যায় ঝামেলা। দখলকারীদের সঙ্গে হাতাহাতি শুরু হয় এলাকাবাসীর। তৃণমূলের স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য রতন সাহা পরিস্থিতি সামাল দিতে এলে তাকেও ধাক্কাধাক্কির মুখে পড়তে হয়। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে সরকারি জলাভূমি কি ভাবে পাট্টা হলো। তবে কি ঘুঘুর বাসা রয়েছে ভূমি দপ্তরের অন্দরেই। সরকারি জমি দখল হোক বা জলাভূমি ভরাট বারবার কঠোর নির্দেশ দিচ্ছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।
তারপরেও হরিশ্চন্দ্রপুরের বিভিন্ন এলাকায় কোন ভাবেই থামছে না জমি মাফিয়াদের দৌরাত্ম। বিরোধীদের অভিযোগের একটাই কারণ তৃণমূল এবং প্রশাসনের একাংশের মদত। যার বিনিময়ে মিলছে মোটা টাকা। যদিও তৃণমূলের দাবি প্রশাসন সক্রিয় রয়েছে বলেই তদন্ত গেছে। উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়া হবে। শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানোতোর। অন্যদিকে ভূমি দপ্তরের কর্তারা মেনে নিয়েছেন পাট্টা হয়ে যাওয়ার কথা। তারা জানিয়েছেন তারা রিপোর্ট জমা দেবেন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে।