মালদা;তনুজ জৈন;১০মার্চ: মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে এলাকায় এলাকায় ভোটার তালিকা খতিয়ে দেখতে গিয়ে এবার তৃণমূলের জেলা পরিষদ সদস্যের জালে ভুয়ো ভোটার। একই গ্রামের ভোটার তালিকায় প্রায় নয় থেকে দশ জন বিহারের ভোটার। যাদের বিহারের ভোটার তালিকাতেও নাম আছে। আবার বাংলার ভোটার তালিকাতেও নাম আছে। যে অভিযোগ সামনে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। কি ভাবে দুই রাজ্যের ভোটার তালিকায় নাম উঠেছে প্রশ্ন? বিজেপির চক্রান্ত। এরকম আরো বহু ভোটার আছে। শুধু ঘুরলে হবে না সঠিক জায়গায় তদন্ত করলে উঠে আসবে দাবি তৃণমূলের জেলা পরিষদ সদস্যের। জানানো হয়েছে প্রশাসনকেও। অন্যদিকে এই ঘটনাকে নাটক বলে কটাক্ষ বিরোধীদের।
মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লকের সুলতান নগর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত বাংলা-বিহার সীমান্তবর্তী মালসাবাধ এলাকা। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে এলাকায় এলাকায় ভোটার তালিকা খতিয়ে দেখতে গিয়ে এদিন সেখানে যান স্থানীয় জেলা পরিষদ সদস্য বুলবুল খান। সেখানে গিয়ে তালিকা খতিয়ে দেখতে তিনি জানতে পারেন প্রায় নয় জন বিহারের ভোটার রয়েছে সেই বুথের ভোটার তালিকায়। যাদের আবার বিহারের ভোটার তালিকাতেও নাম আছে।তারপর তিনি বিষয়টি প্রশাসনকে জানান।বুলবুল বাবুর দাবি এরকম আরো বিহারের ভোটার ঢুকে আছে এখানকার তালিকায়। সঠিক ভাবে খতিয়ে দেখলে সেটা পাওয়া যাবে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পর সেটা তাদের মাথায় এসেছে। আর এটা বিজেপি করছে বলেও অভিযোগ তার।যদিও এই ঘটনা নিয়ে বিরোধীদের দাবি এদের এখানকার ভোটার তালিকায় তৃণমূল ঢুকিয়েছে। ভোটের সময় তারা তৃণমূলকে ভোট দিতে যায়। এখন সবটা নাটক করছে। শুধু বিহার নয় বাংলাদেশের ভোটারও আছে। সমগ্র ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।