মালদা;তনুজ জৈন;১১ফেব্রুয়ারী: লোকসভা ভোটের পর ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনাল উপলক্ষে এলাকায় প্রথম এলেন লোকসভার তৃণমূল প্রার্থী তথা প্রাক্তন পুলিশ সুপার প্রসূন ব্যানার্জি। টুর্নামেন্টের প্রধান পৃষ্ঠপোষক তথা তৃণমূলের জেলা পরিষদ সদস্যের ভুয়সী প্রশংসা করলেন। আবার সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তৃণমূলের জেলা পরিষদ সদস্য খেলার মাঠ থেকেই বিধানসভা ভোটের ময়দানে মমতাকে জেতানোর জন্য তার নেতৃত্বে এলাকায় সব রকম খেলা হবে বলে হুংকার দিলেন। যেখান থেকে এলাকার রাজনীতিতে নতুন সমীকরণের ইঙ্গিত নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে।
এদিকে পুলিশের অ্যাডভাইসারি কমিটিতে থাকা প্রসূন ব্যানার্জীর আসা নিয়ে পুলিশের তৃণমূলীকরণের অভিযোগে কটাক্ষ করেছে বিরোধীরা। সাথে খেলা হওয়া মন্তব্য নিয়ে সন্ত্রাস সৃষ্টি করার চেষ্টা বলে অভিযোগ বিরোধীদের। শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লকের সুলতান নগরে কেএমএস ক্লাবের পরিচালনায় আট দিনব্যাপী টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনালে উপস্থিত হয়েছিলেন উত্তর মালদা লোকসভার তৃণমূল প্রার্থী প্রসূন ব্যানার্জি, মালদা জেলা পরিষদের সহকারি সভাধিপতি এটিএম রফিকুল হোসেন, জেলা পরিষদ সদস্যা মর্জিনা খাতুন, হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি মনোজিৎ সরকার প্রমুখ। এই টুর্নামেন্টের প্রধান পৃষ্ঠপোষক হলেন জেলা পরিষদ সদস্য তথা এলাকার দাপুটে তৃণমূল নেতা বুলবুল খান। প্রসঙ্গত লোকসভা ভোটে পরাজয়ের পর জেলা ছেড়ে দিয়ে ছিলেন তৃণমূল প্রার্থী প্রসূন ব্যানার্জি। পরবর্তীতে একবার মালদাতে এলে চাঁচল মহকুমা তথা হরিশ্চন্দ্রপুরে ভোটের পর প্রথম বুলবুল খানের টুর্নামেন্টেই দেখা গেল প্রসুন বাবুকে। এই মুহূর্তে পুলিশের একটি উপদেষ্টা কমিটির সদস্য রয়েছেন তিনি। ফাইনাল দেখতে এসে বুলবুল খানের প্রশংসায় কার্যত পঞ্চমুখ হন প্রসুন। এই ধরনের বিরাট টুর্নামেন্ট আয়োজনের জন্য এবং সামাজিক কাজের জন্য সাধুবাদ জানান। আবার সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বুলবুল দাবি করেন মাঠের খেলা শেষ এবার রাজনীতির ময়দানে খেলা হবে। দিদিকে জেতাতে যে খেলা প্রয়োজন সেই খেলাই হবে। নেতৃত্ব দেবেন তিনি। এই মন্তব্যের পরেই জল্পনা শুরু হয়েছে তবে কি হরিশ্চন্দ্রপুরের নতুন রাজনীতির কোন সমীকরণ আসছে তৃণমূলে। বিধানসভার জন্য কি বিশেষ কোন ভূমিকায় দেখা যাবে বুলবুল খানকে। যদিও এই নিয়ে বুলবুলের দাবি দল যা দায়িত্ব দেবে সেটাই পালন করবেন। এদিকে বিরোধীদের অভিযোগ প্রসূন ব্যানার্জি চাকরি ছেড়ে প্রার্থী হয়ে ছিলেন। হেরে গিয়ে জেলা ছেড়ে দিয়েছেন। তার উপস্থিতি প্রমাণ করে পুলিশ কতটা তৃণমূলের দলদাস। বিরোধীদের আরো অভিযোগ খেলা হবে বলে তৃণমূল সাধারণ মানুষের মধ্যে সন্ত্রাস সৃষ্টি করতে চাইছে। কিন্তু সেটা পঞ্চায়েত এবং লোকসভা ভোটের মতোই হরিশ্চন্দ্রপুরে ব্যর্থ হবে। সমগ্র ঘটনায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানোতোর।