মালদা;তনুজ জৈন;২৩ডিসেম্বর: অপরনের ছয় ঘন্টার মাথায় পার্শ্ববর্তী জেলা থেকে নাবালিকা কে উদ্ধার। গ্রেপ্তার দুই অপহরণকারী। সেই ঘটনায় পুলিশের প্রশংসা করে এবার থানায় গিয়ে মন্ত্রী এবং তৃণমূল নেতারা পুলিশকে সম্বর্ধনা দিতেই বিতর্কের ঝড়। বিরোধীদের অভিযোগ এই ভাবে থানায় গিয়ে তৃণমূল নেতাদের পুলিশকে সম্বর্ধনা দেওয়া আদতে পুলিশের রাজনীতিকরণ। সাথে বিরোধীদের আশঙ্কা তৃণমূল তদন্তে প্রভাব সৃষ্টি করতে পারে। দোষীদের বাঁচানোর চেষ্টা করতে পারে। পুলিশকে সম্বর্ধনা দিয়ে পুলিশের উপর চাপ সৃষ্টি করার কৌশল। যদিও তৃণমূলের দাবি পুলিশের ভূমিকা এক্ষেত্রে সত্যি প্রশংসনীয়। তাই সম্বর্ধনা তাদের প্রাপ্য। এবার অপহরণের ঘটনাতেও শুরু রাজনৈতিক তরজা।
মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর থানার সালালপুর গ্রামের চুল ব্যবসায়ী শেখ রাজুর সাত বছরের শিশু কন্যাকে বাড়ির সামনে থেকে প্রকাশ্য দিবালোকে বাইকে করে অপহরণ করে তারই দুই বন্ধু। পরিকল্পনা ছিল মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার। কিন্তু তাদের সেই পরিকল্পনা সফল হতে দেয়নি পুলিশ।ছয় ঘণ্টার মধ্যে পার্শ্ববর্তী উত্তর দিনাজপুর জেলার টুঙ্গিদিঘি চেকপোস্ট থেকে নাবালিকাকে সুরক্ষিত ভাবে উদ্ধার করে পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয় দুই অপহরণকারীকে। পুলিশের এই ভূমিকাতে সামাজিক মাধ্যমে প্রশংসার বন্যা বয়ে যায়। এই ঘটনায় এবার পুলিশকে থানায় সম্বর্ধনা দিতে গেলেন হরিশ্চন্দ্রপুরের বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী তাজমুল হোসেন, জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ রবিউল ইসলাম সহ তৃণমূল নেতারা। যে ছবি সামনে আসতেই শুরু হয়েছে বিতর্কের ঝড়। প্রসঙ্গত গতকাল মন্ত্রী যখন ওই নাবালিকার বাড়িতে দেখা করতে যান তখন তার বাবা অনুরোধ করে ছিলেন এই ঘটনা যাতে কোন ভাবে রাজনীতি দ্বারা প্রভাবিত না হয়। দোষীরা যাতে কঠোর শাস্তি পায়।এবার বিরোধীদের আশঙ্কা তৃণমূল হয় তো পুলিশকে নিরপেক্ষ ভাবে কাজ করতে দেবে না। সম্বর্ধনা দিয়ে প্রভাব সৃষ্টি করতে চাইছে তৃণমূল। যদিও বিরোধীদের এই অভিযোগ মানতে নারাজ তৃণমূল। সম্বর্ধনা নিয়ে তুঙ্গে উঠেছে রাজনৈতিক চাপানোতোর।