তনুজ জৈন; মালদা:- তৃণমূল বিধায়কের নেতৃত্বে মৎস্যজীবী পরিবারের সদস্যদের সাথে নিয়ে চলল ব্যাপক ভাঙচুর। মাছ চাষের জন্য জলাশয় লিজ নিয়ে ধুন্ধুমার মালদহের রতুয়ায়। সরকারি ভাবে যে সোসাইটিকে এই জলকর লিজ দেওয়া হয়েছিল সেই সোসাইটির হাত থেকে এই জলকর দখলমুক্ত করতে পদক্ষেপ বিধায়কের। তৃণমূল বিধায়কের নামে ভাঙচুর ও মাছ লুটের অভিযোগ দায়ের থানায়।
ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য মালদহের রতুয়া থানার রাঙ্গামাটিয়া এলাকায়।যদিও সাধারণ মানুষ ও মৎস্যজীবীরা যাতে এই জলকর ব্যবহার করতে পারে সেই জন্যই প্রশাসনিক ইঙ্গিতে এই ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে দাবি রতুয়ার তৃণমূল বিধায়ক সমর মুখোপাধ্যায়ের।
![]() |
বিজ্ঞাপন |
মালদহের রতুয়া- ১ ব্লকের রাঙ্গামাটিয়া এলাকায় মরা কালিন্দী নদীতে ৮৯ একর এলাকায় লিজ নিয়ে গোলমালের সূত্রপাত। সরকারি এই জলকর উচ্চআদালতের নির্দেশ মতো লিজ পেয়েছে বাজিতপুর কলোনি ফিশারম্যান কো-অপারেটিভ সোসাইটি। গত মে মাসে মৎস্য দপ্তর এবং ভূমি ও ঘুমিয়ে রাজস্ব দপ্তরের নির্দেশে মরা কালিনদের এই অংশে মাছ চাষের জন্য দখলদারি করে ওই সোসাইটি। সোসাইটির দাবি, ২০৩১ সালের মে মাস পর্যন্ত তাঁদের এই লিজ দেওয়া হয়েছে। এই লিজ বাবদ প্রতিবছর প্রায় ১৬ লক্ষ ২১ হাজার টাকা সরকারি রেভিনিউ দিতে ওই সোসাইটিকে। দখলদারি নেওয়ার পর প্রায় কোটি টাকার মাছ চাষ করেছে সোসাইটি কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি এই বৃহৎ জলাশয় ও বিপুল পরিমাণ মাছ রক্ষাবেক্ষণের জন্য জলাশয়ের ধারে যোগান দারদের থাকার বেশকিছু ঘর এবং সোসাইটির একটি ঘর তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু, শুক্রবার রতুয়ার তৃণমূল বিধায়ক সমর মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এই সোসাইটির বানানো যোগানদারদের অস্থায়ী ঘরগুলি ভেঙে ফেলা হয় বলে অভিযোগ।
তৃণমূলের পতাকা হাতে এলাকার মৎস্যজীবীদের সাথে নিয়ে এমনই পদক্ষেপ নিতে দেখা যায বিধায়ক তথা জেলা তৃণমূল চেয়ারম্যান সমর মুখোপাধ্যায়কে। ওই এলাকায় সোসাইটি কর্তৃপক্ষের ঘর ভেঙে ফেলা হয়। পাশাপাশি, মাছ চাষের নৌকো, বেশ কিছু উপকরণ ও মাছ লুট করা হয়েছে বলে দাবি বাজিতপুর কলোনি ফিশারম্যান কো-অপারেটিভ সোসাইটি কর্তৃপক্ষের। মালদা থেকে তনুজ জৈনের প্রতিবেদন আপনার নিউজ