মালদা;তনুজ জৈন;০৮সেপ্টেম্বর: রাজস্থানে বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকের রহস্য মৃত্যু। সহকর্মীদের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ পরিবারের। সেই ঘটনায় এবার বেলাগাম জেলা তৃণমূল সভাপতি। সরাসরি না বললেও কার্যত বাংলার বিজেপি কর্মীদের খুনের হুঁশিয়ারি। এই ঘটনার সঙ্গে আরজিকর কাণ্ডের তুলনা। প্রধানমন্ত্রীকে অপদার্থ বলে কটাক্ষ। জেলা সভাপতির মন্তব্যকে শীলমোহর দিলেন ব্লক সভানেত্রী। তৃণমূলের বিরুদ্ধে ঘৃণ্য রাজনীতির অভিযোগ বিজেপির। পাশাপাশি স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী বিজেপিকে স্মরণ করালেন এই রাজ্য থেকেও বিহার উত্তর প্রদেশ থেকে কাজে আসে অনেকে।
মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের ভিঙ্গল গ্রাম পঞ্চায়েতের মিসকিনপুর গ্রামের বাসিন্দা মতি আলী দীর্ঘ কুড়ি বছর ধরে রাজস্থানের একটি সোনার দোকানে কাজ করতেন। পরিবারের লোকেরা দাবি করে সহকর্মীদের সঙ্গে বিবাদের জেরে তাকে বেধড়ক মারধর করা হয়েছিল। সেই কারণেই তার মৃত্যু হয়। রবিবার ওই শ্রমিকের মরদেহ ফিরে নিজ গ্রামে। আর এদিনই এই ঘটনার প্রতিবাদে মৌন মিছিল এবং প্রতিবাদ সভা করে তৃণমূল। যেখানে উপস্থিত ছিলেন জেলা তৃণমূল সভাপতি আবদুর রহিম বক্সি, স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী তাজমুল হোসেন, ব্লক তৃণমূল সভানেত্রী তথা জেলা পরিষদ সদস্যা মর্জিনা খাতুন, আরেক ব্লক তৃণমূল সভাপতি জিয়াউর রহমান প্রমুখ। তৃণমূল নেতৃত্বরা সমবেত ভাবে অভিযোগ করেন মতিকে রাজস্থানে বিজেপি কর্মীরা পিটিয়ে খুন করেছে। বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের এই ভাবেই মারা হচ্ছে। তবে জেলা তৃনমূল সভাপতি রহিম বক্সি একের পর এক বিতর্কিত মন্তব্য করেন।যে মন্তব্য নিয়ে কার্যত ঝড় উঠেছে জেলার রাজনীতিতে।
প্রকাশ্যে মাইক নিয়ে তিনি বলেন যদি বিজেপি শাসিত রাজ্যে বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের হত্যা বন্ধ না হয়। তবে বাংলার বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে একই ঘটনা ঘটানো হবে। যেটা কার্যত খুনের হুঁশিয়ারি।সাথে রহিম বক্সী বলেন এই ঘটনা আর আরজিকরের ঘটনা সমান। মতিও বাংলার ঘরের ছেলে। তাই তার জন্য মানুষ প্রতিবাদে নামুক। রাত দখল করুক।আর তার এই মন্তব্যকেই আবার সমর্থন জানালেন ব্লক তৃণমূল সভানেত্রী মর্জিনা খাতুন। অন্যদিকে মন্ত্রী তাজমুল হোসেন বলেন হরিশ্চন্দ্রপুর ইটভাটায় মাখনার জমিতে বিহার উত্তর প্রদেশের অনেকেই কাজ করতে আসে। তাদের সঙ্গে খারাপ কিছু হয় না। বিজেপিকে এটা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি। অবিলম্বে এই ঘটনা বন্ধ না হলে আন্দোলন বৃহত্তর হবে। যদিও রহিম বক্সির বক্তব্য সহ তৃণমূলের মন্তব্যের পেছনে রাজনীতি দেখছে বিজেপি। বিজেপির দাবী যে কোন মৃত্যু দুর্ভাগ্যজনক। কিন্তু পরিবারের লোকেরা বলছে সহকর্মীরা মেরেছে। আর তৃণমূল বলছে বিজেপি মেরেছে।সাথে আরজিকরের সঙ্গে তুলনা করছে। জেলা তৃণমূল সভাপতি নিজেই একজন অপদার্থ। নিজেদের গদি টলমল দেখে নজর ঘোরানোর চেষ্টা করছে।