Type Here to Get Search Results !

অনুদান বড় নয়, অনুদান না দিলেও পূজা হবে, সেই টাকায় প্রয়োজনে মহিলাদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত হোক

অনুদান বড় নয়, অনুদান না দিলেও পূজা হবে, সেই টাকায় প্রয়োজনে মহিলাদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত হোক, মহিলা কমিটির খুঁটি পুজো থেকে প্রতিবাদী বার্তা তৃণমূল নেতার স্ত্রীর, স্ত্রীর মন্তব্য কে ব্যক্তিগত বলে অনুদানের পক্ষে সওয়াল তৃণমূল নেতার, রাজ্যের মহিলাদের অবস্থা মেরুদন্ড সোজা রেখে বলেছেন কুর্নিশ বিরোধীদের।

মালদা;তনুজ জৈন;১০সেপ্টেম্বর: অনুদানটা বড় কথা নয়। অনুদান দিলেও পুজো হবে, না দিলেও হবে। কিন্তু তার আগে ওই টাকায় মহিলাদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করুক সরকার। খুঁটি পুজো থেকে এমনটাই দাবি করলেন এক মহিলা কমিটির পুজো উদ্যোক্তা। যিনি আবার এলাকার তৃণমূল নেতার স্ত্রী। যদিও স্ত্রীর বক্তব্যকে ব্যক্তিগত বক্তব্য বললেও অনুদানের পক্ষে রাজ্য সরকারের হয়ে সাওয়াল করলেন ওই তৃণমূল নেতা। পাল্টা তৃণমূল নেতার স্ত্রীর বক্তব্যকে কুর্নিশ জানালেন বিরোধীরা। 

মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর সদর এলাকায় হরিশ্চন্দ্রপুর ডেলি মার্কেট মহিলা সার্বজনীন দুর্গাপূজা কমিটির পূজা এবার ১৭ তম বর্ষে পা দিল। মঙ্গলবার খুঁটি পূজার মধ্যে দিয়ে প্রস্তুতি শুরু হয়। এই বছর তাদের থিম "সহজ পাঠ"। পুজো কমিটির দাবি এই সহজ পাঠের মাধ্যমে যারা দুষ্কৃতিকারী এবং দুষ্ট বুদ্ধির লোক তাদের শিক্ষা দেওয়ার বার্তা দেবেন মহিলারা। মূলত আরজিকর কান্ডের প্রতিবাদে এই থিম। মহিলা পরিচালিত এই পুজো কমিটি সরকারি অনুদান পান। এই বছরও তারা অনুদান নিচ্ছেন। কিন্তু মহিলাদের দাবি অনুদানের আগে সরকার সুনিশ্চিত করুক নারী নিরাপত্তা। কারণ অনুদান না দিলেও যে পুজো হবে না এমনটা নয়। বরং সেই টাকায় আগে নারী নিরাপত্তা সুনিশ্চিত হোক।এই মন্তব্য করেছেন ওই ক্লাবেরই অন্যতম সদস্যা প্রমিলা ভৌমিক। যিনি হরিশ্চন্দ্রপুর অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি সঞ্জীব গুপ্তার স্ত্রী। তার এই মন্তব্য সামনে আসতেই রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে। বিরোধীদের দাবি উনি রাজ্যের বর্তমান অবস্থা বলেছেন। যেখানে বিজেপি তৃণমূল সিপিএম না।কোন মহিলাই সুরক্ষিত নয়। মেরুদণ্ড সোজা রেখে ওনার এই বক্তব্যকে তারা কুর্নিশ জানিয়েছেন। অন্যদিকে সঞ্জীব গুপ্তার দাবি আরজিকরের আবহে একজন মহিলা হিসেবে তার স্ত্রী ব্যক্তিগত মতে মন্তব্য করেছেন। শুধু বাংলা কেন উত্তরপ্রদেশ রাজস্থান কোথাও মহিলারা সুরক্ষিত নয়। তাই স্বাভাবিক মহিলাদের মধ্যে একটা নিরাপত্তার অভাব বোধ হচ্ছে। কিন্তু রাজ্য সরকারের এই অনুদান অত্যন্ত জরুরী। কারণ গ্রাম বাংলায় এই অনুদানের টাকাতেই পূজো হচ্ছে বড় করে। না তো অনেক জায়গায় পুজো বন্ধ হয়ে যেত।
Tags

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad

Top Side