আপনার নিউজ ডেক্স:- শুক্রবার থেকে রবিবার টানা জেরার মুখে আরজি করের সদ্যপ্রাক্তন অধ্যক্ষ। আজ সিবিআই এর তরফ থেকে সকাল ১১টা নাগাদ হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল সন্দীপ ঘোষকে। তবে রবিবার, সওয়া ১০টা নাগাদ তিনি বেলেঘাটায় নিজের বাড়ি থেকে বার হন। ১১টা বাজার অন্তত ২০ মিনিট আগে সিজিও পৌঁছন সন্দীপ। শুক্রবার প্রায় ১০ ঘণ্টা টানা তাঁকে সিজিওতে জেরা করা হয়। মাঝরাতে বাড়ি ফিরেছিলেন তিনি। তার পর শনিবার আবারও সকাল ১০টা নাগাদ সিজিওতে হাজিরা দিয়েছিলেন সন্দীপ। তদন্তকারীদের একাধিক প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছেন তিনি। আরজি করের মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করতেই তাঁকে জেরা করা হয়।
শুক্রবার সিজিও থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সন্দীপ বলেন,"সিবিআই আমাকে গ্রেফতার করে নি"। অথাৎ তার মনে একটা ভয় কাজ করছে গ্রেফতারি নিয়ে। শনিবার সন্দীপকে ১৩ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারীরা। শনিবার তাঁকে বেশ কিছু নথি নিয়ে সিজিওতে ঢুকতে দেখা গিয়েছিল। রবিবারও তাঁর হাতে ছিল কিছু ফাইল। মনে করা হচ্ছে, সিবিআইয়ের চাওয়া কোনও নথি নিয়েই তিনি হাজিরা দিয়েছেন। তবে কী নথি, সে সম্পর্কে কোনও তথ্য মেলেনি। রবিবার আবার সিবিআই এর কর্তারা তাকে ডেকে পাঠায়... আর এর ফলে একটু প্রশ্ন দানা বাধছে তবে কি 'গ্রেফতার হতে পারে সন্দীপ'?
যদিও শুক্রবারই আদালতে সন্দীপের আইনজীবী দাবি করেছিলেন, সিবিআই তলবে হাজিরা দিতে চান সন্দীপ। কিন্তু তিনি নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত। এর পর সিবিআই গাড়িতে করে তাঁকে দফতরে নিয়ে যায়। গভীর রাতে বাড়ি ফিরলেও তাঁকে ফের শনিবার সকালে সিজিও কমপ্লেক্সে আসতে হয়। শনিবার সিজিওতে ঢোকার মুখে সন্দীপ বলেছিলেন, ‘‘আমি তদন্তে সহযোগিতা করছি। দয়া করে প্রচার করবেন না যে, আমাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’’ তবে রবিবার সাংবাদিকদের একাধিক প্রশ্নের উত্তরে চুপই ছিলেন সন্দীপ।