Type Here to Get Search Results !

Malda: মোটর বাইকে করে বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শনে বিডিও এবং জন-প্রতিনিধিরা, মাটিতে বসেই শুনলেন এলাকার মানুষের অভাব অভিযোগ

মোটর বাইকে করে বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শনে বিডিও এবং জন-প্রতিনিধিরা, মাটিতে বসেই শুনলেন এলাকার মানুষের অভাব অভিযোগ, রেসন এবং অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের সমস্যা মেটানোর আশ্বাস, জমিদানে এগিয়ে এলেন এক স্থানীয়


মালদা;তনুজ জৈন;১৫আগস্ট: একদিকে নদীর জল বাড়াতে বন্যা পরিস্থিতি। অন্যদিকে ভাঙ্গন।সাথে আরো একাধিক সমস্যায় জর্জরিত ভাঙন কবলিত এলাকার মানুষেরা। বহু দূর থেকে নিতে যেতে হয় রেশন।নেই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র।বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শনে গিয়ে অবহেলিত মানুষদের কথা মাটিতে বসে শুনলেন ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক। সাথে ছিলেন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি এবং বিদ্যুৎ কর্মাধ্যক্ষা।সমস্যা শুনে দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দিলেন বিডিও। অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের জন্য জমিদানে এগিয়ে এলেন এক ব্যক্তি। 

মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লকের উত্তর ভাকুরিয়া, দক্ষিণ ভাকুরিয়া, কাউয়াডোল এই এলাকাগুলিতে এদিন পরিস্থিতি পরিদর্শনে যান হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লকের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক তাপস কুমার পাল, হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লক পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রিজিয়া সুলতানা, বিদ্যুৎ কর্মাধ্যক্ষা কাবেরী মন্ডল। যাতে প্রত্যেকটি দুর্গম এলাকায় পৌঁছতে পারেন তাই গাড়ি নয় মোটর বাইকে করেই গেছিলেন বিডিও। জন-প্রতিনিধিরাও ছিলেন মোটরবাইকে। প্রথমে প্রত্যেকটি এলাকা পরিদর্শন করে কাউয়াডলে গিয়ে মাটিতে বসে স্থানীয়দের অভাব অভিযোগ শুনেন তারা।বিডিও আশ্বাস দেন বর্ষার পর জল নেমে গেলে স্থায়ী কাজের পরিকল্পনা নেওয়া হবে।এছাড়াও বর্তমানে যে কোন রকম আপৎকালীন সহযোগিতা করবে প্রশাসন।পর্যাপ্ত ত্রানের ব্যবস্থা করা হবে।ভাঙন ছাড়াও এই এলাকায় রয়েছে বহু সমস্যা।এখানে নেই কোন অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র। আর এলাকায় বেশির ভাগ খেটে খাওয়া মানুষের বসবাস। যার কারণে শিশু থেকে শুরু করে প্রসূতি মায়েরা সুষম খাদ্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এই বিষয়ে প্রশাসন আশ্বাস দেন। স্থানীয় এক বাসিন্দা অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের জমি দিতে এগিয়ে আসেন। এই এলাকার মানুষকে রেশন নিতে যেতে হচ্ছে বহুদূর। এই সমস্যাও সমাধান করে দেন বিডিও।তিনি জানান দ্রুত এলাকায় রেশনের ব্যবস্থা করা হবে।হাজার সমস্যার মাঝেও প্রশাসন এবং জন-প্রতিনিধিদের আশ্বাসে কিছুটা স্বস্তি পান এলাকাবাসী।
স্থানীয় বাসিন্দা ফড়িং মন্ডল বলেন, ভাঙ্গন এবং বন্যা ছাড়াও আমাদের এলাকায় বহু সমস্যা। উন্নয়ন থেকে আমরা বঞ্চিত। রাস্তার সমস্যা রয়েছে। আজ প্রশাসনিক কর্তা এবং জনপ্রতিনিধিরা এসেছিলেন। উনারা পাশে থাকলেই আমরা বাঁচতে পারব। আমি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের জন্য জমি দিতে চাইছি।

স্থানীয় গৃহবধূ পঞ্চম মন্ডল বলেন, আমাদের এখানে তো অনেক সমস্যা। একটা অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র পর্যন্ত নেই।ভাঙন আর বন্যা নিয়ে তো ভয় আছেই। আজ বিডিও এলেন। আমাদের সঙ্গে কথা বলে গেলেন। সমস্যাগুলো সমাধান হলে ভালো লাগবে।

হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লক পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রিজিয়া সুলতানার বক্তব্য, এখানে তো প্রচুর অসুবিধা আছে মানুষের। কিছুদিন আগে জল উঠেছিল। এখন দেখলাম জল নেমে গেছে। আরেকটা সমস্যা অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র নেই। আমরা সব শুনে গেলাম। দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করব।

হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক তাপস কুমার পাল জানান, দেখুন ভাঙ্গন রোধের যেটা কাজ সেটা বর্ষার পরে সম্ভব। একটা পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। দপ্তর থেকে অনুমতি দিলে সেই কাজ হবে। আর স্থানীয় এক ব্যক্তি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের জমি দেওয়ার জন্য এগিয়ে এসেছেন। আশা করা যাচ্ছে করে দেওয়া হবে। দুয়ারে রেশনের ব্যবস্থা আমি করে দেব।

Tags

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad

Top Side