মানিকচক ব্লকের পুরোনো স্বনামধন্য বিদ্যালয় মথুরাপুর বিএসএস উচ্চ বিদ্যালয়। আর এই বিদ্যালয় চত্বরে বিভিন্ন প্রাচীন গাছ রয়েছে। যে গাছগুলি বিদ্যালয় চত্বরে দীর্ঘদিন ধরে সৌন্দর্য বাড়িয়ে আসছিল। কিন্তু হঠাৎ করে বিদ্যালয়ের চত্বরের দুটি গাছ কেটে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। বিষয়টি বিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের অভিভাবকদের নজরে আসলে তারা হতবাক হয়ে যান। কি কারনে প্রাচীন দুটি গাছ কেটে ফেলা হলো তা বুঝে উঠতে পারেননি অভিভাবকরা। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছেও গাছ কাটার সঠিক উত্তর না পেয়ে অভিভাবকরা মিলিতভাবে বনদপ্তরের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিভাবকদের অভিযোগ, অবৈধভাবে হঠাৎ করে দুটি গাছ কেটে ফেলেছে প্রধান শিক্ষক। এমনকি গাছের গুড়িসহ সমস্ত কিছু বিদ্যালয় চত্বর থেকে সরিয়ে অন্যত্রে বিক্রিও করে দেওয়া হয়। সেই টাকা আত্মসাৎ করার পরিকল্পনা রয়েছে প্রধান শিক্ষকের। তাই পড়ুয়াদের অভিভাবকরা অভিযোগ দায়ের করেছেন বন দপ্তরের কাছে। খতিয়ে দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়া হয় সে দাবি রয়েছে অভিভাবকদের।
অভিভাবকদের অভিযোগ স্বীকার করেছে বিদ্যালয়ের এক সহশিক্ষক সানোয়ার আলী পারভেজ। তিনি জানান,দিন কয়েক আগে হটাৎ দেখা যায় গাছ কেটে দেওয়া হয়েছে। এই গাছ কাটা নিয়ে প্রধান শিক্ষক কোনরকম রেজুলেশনও করেননি। পরিচলন সমিতির সাথে আলোচনাও করেননি। নিজের স্বার্থেই মর্জি মতো গাছ কেটে ফেলেছেন। সেই টাকাও আত্মসাৎ করার পরিকল্পনা রয়েছে প্রধান শিক্ষকের। এখন প্রধান শিক্ষক নিজেকে বাঁচাতে বিভিন্ন রকমের অজুহাত দেখাচ্ছে।বন দপ্তরের আধিকারিকরা ইতিমধ্যেই তদন্তে বিদ্যালয়ে এসেছিলেন। এই গাছের বিনিময়ে বিদ্যালয়ের তহবিলে ৩৫ হাজার টাকা প্রধান শিক্ষক দেখিয়েছেন। যদি গাছ বিক্রি না করা হতো তাহলে ৩৫ হাজার টাকা কি করে তিনি দেখালেন সেই প্রশ্নই তুলেছেন তিনি।
যদিও এই ধরনের অভিযোগের কোন সত্যতা নেই বলে দাবি করেছে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অতীন্দ্রনাথ দাস।তিনি জানান, মাস কয়েক আগে বিদ্যালয়ের এই গাছগুলিতে বাজ পড়েছিল। তাই গাছগুলি নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। পাশাপাশি গাছগুলি থেকে যখন তখন ডালপালা ভেঙে পড়ছিল। পড়ুয়াদের আঘাত লাগার সম্ভাবনা ছিল। তাই বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের তরফে সিদ্ধান্ত করা হয় এবং দুটি গাছ কাটা হয়। তবে এই গাছ কাটার জন্য যে ধরনের পর্যাপ্ত নিয়ম এবং অনুমতি প্রয়োজন সমস্তটা নিয়েই করা হয়েছে। বন দপ্তরের আধিকারিকরা বিষয়টির খতিয়ে দেখতে বিদ্যালয়ে এসেছিলেন। সমস্ত বিষয় খতিয়ে দেখেছেন এবং এই গাছের সমস্ত অংশ বনদপ্তরের জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।