রঞ্জন সাহা; জলপাইগুড়ি:- ময়নাগুড়ি ৫ই সেপ্টেম্বর সোমবার ময়নাগুড়ি উত্তরবঙ্গ প্রাচীনতম শৈব তীর্থ জল্পেশ মন্দিরে তৃতীয় সপ্তাহ পরলো শ্রাবণী মেলা ও বাবার মাথায় জল ঢালা। এই উপলক্ষে রবিবার রাত থেকে তিস্তা ঘাট থেকে এবং অন্যান্য নদী থেকে উন্নতির স্নান করে ভারে করে জল নিয়ে প্রচুর পুণ্যার্থী পৌঁছে যায় জল্পেশ মন্দিরে। সেই সঙ্গে সোমবারও প্রচুর ভক্ত সমাগম হয় জল্পেশ মন্দিরে জল ঢালার জন্য। রাত থেকে ই প্রচুর মানুষের লম্বা লাইন পড়ে যায়। এই দৃশ্য এর আগে চোখে পড়েনি বলে ময়নাগুড়ি জল্পেশ মন্দির কমিটির সম্পাদক গিরিন দেব আমাদের জানান। তিনি বলেন রেকর্ডসংখ্যক ভিড় হয়েছে রবি এবং সোমবার জলপেস মন্দিরে। তিনি তার তার এই পদে থাকাকালীন এবং এ অঞ্চলে বসবাসকারী নাগরিক হিসেবে এই ধরনের ভিড় লক্ষ করেননি আগে।
পুলিশ সূত্রে এবং মন্দিরসূত্রে জানা যায় রবিবার এবং সোমবার মিলিয়ে প্রায় ৫ লক্ষ ভক্তের সমাগম হয় জল্পেশ মন্দিরে। যদিও জল্পেশ মন্দিরে সুষ্ঠুভাবে ও ও জল ঢালতে পারলেও পুণ্যার্থীরা কিন্তু মন্দির চত্তরের পাশে লম্বা লাইনে অসুস্থ হয়ে যায় একজন, এবং বাসের ব্যারিকেট ভেঙে একজন সিভিক ভলেন্টিয়ারে হাত কেটে যায় বলে পুলিশ সূত্রে জানা যায়। যদিও তাদের হাসপাতালে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয় বলে জানা যায়। অন্যদিকে গতকালের ভিড়ে প্রচন্ড বেগ পেতে হয় মন্দিরের ভলেন্টিয়ার তথা পুলিশ কর্মী ও সিভিক ভলেন্টিয়ারদের। যদিও দুই একটি ছোটখাটো ঘটনা ছাড়া কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি বলে পুলিশ সূত্রে খবর। অন্যদিকে সূত্র জানা যায় তিস্তা ব্রিজ সংলগ্ন হাইওয়ে রাস্তার উপর দাঁড়িয়ে থাকা বিভিন্ন পণ্যার্থীদের গাড়ি থেকে জোর করে পার্কিং ফ্রি আদায় করছে কিছু মানুষ এ ব্যাপারে পুণ্যার্থীরা অভিযোগ জানিয়েছেন হাইওয়ে ট্রাফিক পুলিশের কাছে। যদিও এ ব্যাপারে হাই ওয়ে ট্রাফিক পুলিশ পার্কিং দেওয়া ব্যক্তিদের কাছে গেলে তারা কোন বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেনি এবং তাদের পার্কিং জনও ছিল না। বলে জানা যায়। এই বিষয়ে তারা পার্কিং তোলা ব্যক্তিদের বারবার নিষেধ করে পার্কিং ফ্রি নেওয়ার জন্য। কিন্তু তাতেও তারা কর্ণপাত করেনি বলে সত্যের খবর। যদিও পরবর্তীতে কিছু ট্রাফিক পুলিশের সঙ্গে ওই পার্কিং নাম ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় বলে সূত্রের খবর। অন্যদিকে ঘাটে যাতে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে প্রতি সপ্তাহের মত পুলিশ প্রশাসন থেকে মহিলা পুলিশ এবং পুরুষ পুলিশ নিয়োগ করা হয় ,সেই সঙ্গে সিভিক ভলেন্টিয়ার ও ডিফেন্সের কর্মীদের ও তৎপরতা লক্ষ্য করা যায়।