কলেজের জায়গা থেকে ডেলি মার্কেটের ব্যবসায়ীদের উচ্ছেদের নোটিশ, জেলা শাসকের নির্দেশে তাদের পুনর্বাসন দেওয়ার জন্য আরেকটি সরকারি জমি দখলমুক্ত করল প্রশাসন, স্থায়ী পাকা দোকান করে দেওয়ার দাবি ব্যবসায়ীদের
মালদা;তনুজ জৈন;১৬আগস্ট: সরকারি জমি জবরদখল মুক্ত করতে ময়দানে প্রশাসন। প্রশাসনিক অধিকর্তা এবং পুলিশের উপস্থিতিতে দখলমুক্ত হল সতেরো শতক সরকারি জমি। জেলা শাসকের নির্দেশে সেই জায়গায় পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে ব্যবসায়ীদের। প্রশাসন পাকা ঘরের ব্যবস্থা করে দিক আর্জি ব্যবসায়ীদের। মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর সদর এলাকায় আইটিআই কলেজের পাশে রয়েছে ডেলি মার্কেট। সেখানে রয়েছে ২৯ টি দোকান। কিন্তু ওই জায়গাটি কলেজের। কলেজের সীমানা প্রাচীর দেওয়ার জন্য সেখান থেকে ১৪ দিনের মধ্যে ব্যবসায়ীদের উচ্ছেদের নোটিশ দিয়েছে প্রশাসন।যদিও ব্যবসায়ীদের দাবি ছিল তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে।সেই অনুযায়ী কলেজের পাশে আরেকটি জায়গা চিহ্নিত হয়। কিন্তু সেখানে ১৭ শতক সরকারের জায়গা নন্তু দাস নামে এক ব্যক্তি দখল করে ছিল।এদিন হরিশ্চন্দ্রপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনীর উপস্থিতিতে সেই জায়গা দখলমুক্ত করা হয়। যদিও ব্যবসায়ীদের প্রশাসনের কাছে আবেদন ওই জায়গার মধ্যে জলাভূমিও রয়েছে। প্রশাসন সেখানে যদি তাদের স্থায়ী পাকা দোকানের ব্যবস্থা করে দেয় তাহলে সঠিক ভাবে সমস্যার সুরাহা হবে।
এক দোকানি রতন দাস বলেন, ছয় বছর ধরে আমাদের ওখান থেকে উঠে যাওয়ার জন্য বলছে। এখন প্রশাসন খুব তৎপর হয়েছে উঠানোর জন্য। তাই আমরা অনুরোধ করেছিলাম যাতে পুনর্বাসন দেওয়া হয়। এখানে পুনর্বাসন দেওয়া হবে শুনলাম।পাকা দোকানের ব্যবস্থা করে দিলে আরো ভালো হয়।
আরেক দোকানি গোপাল প্রামানিকের অভিযোগ, যে জায়গাটা দিচ্ছে সেখানে জলাশয় আছে।এখন হঠাৎ করে উঠিয়ে দিলে সেখানে গিয়ে কিভাবে দোকান করবো। আমাদের এখানে ভরাট করে পাকা দোকানের ব্যবস্থা করে দিক প্রশাসন।
হরিশ্চন্দ্রপুর অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি সঞ্জীব গুপ্তা জানান, এখানে সরকারি জায়গা জবরদখল করা ছিল। সেখান থেকে উচ্ছেদ করা হলো। ডেলি মার্কেটের ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসন দেওয়া হবে জেলা শাসকের নির্দেশে। আমরাও চাই আগে সঠিক পুনর্বাসন দিয়ে তারপর তাদের উঠানো হোক।
রেভিনিউ অফিসার হিমাংশু কুমার মন্ডল জানান, পার্শ্ববর্তী জমিতে যার পাট্টা ছিল সেই এখানে দখল করে রেখেছিল। টিনের ঘর দেওয়া ছিল। আমরা সমস্ত মাপ যোগ করে সেটা দখলমুক্ত করলাম।