আপনার নিউজ আন্তর্জাতিক ডেক্স:- আজ থেকে ৭৭ বছর আগে একসাথে স্বাধীন হয়েছিল দুটি দেশ। বর্তমানে একটি দেশ যখন সর্ব দিক থেকে উন্নতি করছে, তখন আরেকটি দেশের জনগণ আটার জন্য লড়াই করছে। দুবেলা দুইমুঠ অন্ন জোগাড় করতে ব্যর্থ পাকিস্তানের সাধারণ জনগণ। অথচ ভারতকে টেক্কা দিতে চীন থেকে ফাইটার জেট কিনা সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির সরকার। বর্তমান সময়ে চরম আর্থিক সঙ্কটের মধ্যে রয়েছে পাকিস্তান (Pakistan)। কিন্তু, এই আবহেও পাকিস্তান তার বায়ুসেনার শক্তি বৃদ্ধির দিকে নজর দিচ্ছে। শুধু তাই নয়, তারা ভারতকেও ছাড়িয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। বিষয়টির পরিপ্রেক্ষিতে পাকিস্তানি এয়ারফোর্সের অবসরপ্রাপ্ত এয়ার কমোডর জিয়া উল হক শামসি সম্প্রতি একটি বড় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তিনি বলেন যে, পাকিস্তানের (Pakistan) দ্বারা পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান অধিগ্রহণের ফলে আগামী ১২ থেকে ১৫ বছরের জন্য ভারতের তুলনায় তারা এগিয়ে থাকবে।
শামসির মত অনুযায়ী, এই সময়ের মধ্যে ভারতের সামঞ্জস্যপূর্ণ ক্ষমতা অর্জনের সম্ভাবনা কম। যার ফলে পাকিস্তান কৌশলগত সুবিধা পাবে। উল্লেখ্য যে, চলতি বছরের শুরুর দিকে, পাকিস্তানি এয়ারফোর্সের প্রধান ঘোষণা করেছিলেন যে, পাকিস্তান (Pakistan) চিনের তৈরি F-31 স্টিলথ ফাইটার জেট অধিগ্রহণ করবে। এটি J-31 নামেও পরিচিত। এটি একটি পঞ্চম প্রজন্মের মাল্টিরোল স্টিলথ ফাইটার এয়ারক্রাফ্ট। যা F-35 এবং অন্যান্য উন্নত বিমানের সাথে যুদ্ধ করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। এই অধিগ্রহণ পাকিস্তানি এয়ারফোর্সের জন্য একটি বড় আপগ্রেড হবে। পাশাপাশি, এর ফলে তাদের লড়াকু বিমানের বহরের আধুনিকীকরণ ঘটবে এবং বিমান যুদ্ধের সক্ষমতা বৃদ্ধি করবে।
স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে মোট চার বার যুদ্ধের সম্মুখীন হয়েছে দেশ দুটি। প্রতিবার লজ্জা জনক হার হয়েছে পাকিস্তানের। ১৯৭১ সালে ৯০ হাজারের বেশি পাক সেনা ভারতীয় সেনা এর কাছে মাথা নত করে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়েছিল। যা যেকোনো দেশের যুদ্ধের সব থেকে বড় আত্মসমর্পণ। আগামী দশ বছরের মধ্যে ভারতবর্ষ সামরিক সরঞ্জাম রপ্তানিতে বিশ্বে নিজেদের নাম প্রতিষ্ঠা করবে। ভারত যখন একের পর এক স্বদেশে নির্মিত সামরিক সরঞ্জাম ব্যবহারে লগ্নি করছে ঠিক উল্ট দিকে অর্থনৈতিক দিক থেকে পিছিয়ে পড়া পাকিস্তান দেশের মানুষকে খাদ্যাভাবে রেখে চীনের কাছ থেকে যুদ্ধের সরঞ্জাম কিনছে। আন্তর্জাতিক একটি প্রতিবেদন অনুসারে পাকিস্তানের ইতিমধ্যে চীন তাদের ব্যাংকগুলো শাখা স্থাপন করেছে। আর্থিক লেনদেনে ক্রমশ পাকিস্তান চীনের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে। আর ইতিহাস সাক্ষী আছে চীন নিজের স্বার্থ ছাড়া কোন দেশকে এক গ্লাস জল দেয় না।