মন্ত্রীর খাস তালুকে জোড়া পঞ্চায়েত দখল জোটের, বড়-সড় ধাক্কা খেলো তৃণমূল, খোঁচা বিরোধীদের, সাফাই তৃণমূলের, তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা
মালদা;তনুজ জৈন;১৯আগস্ট: মন্ত্রীর গড়েও উলটপুরান। বোর্ড গঠন প্রক্রিয়া স্থগিত করার পরেও হল না শেষ রক্ষা।রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী তাজমুল হোসেনের মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েত জোটের দখলে। পাশাপাশি হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতও হাত ছাড়া হল তৃণমূলের। কংগ্রেস, সিপিআইএম এবং বিজেপি হাত মিলিয়ে দখল নিল হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের। কার্যত সমগ্র হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকেই ধরশায়ী তৃণমূল। ৭ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ৬ টি বিরোধীদের দখলে।
স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী তাজমুল হোসেনের মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েত ও ধরে রাখতে পারলো না তৃণমূল।বন্যা-ত্রাণ দুর্নীতি থেকে শুরু করে পঞ্চায়েত স্তরের সরকারি প্রকল্প নিয়ে দুর্নীতির ব্যাপক প্রভাব পড়ল ভোট ব্যাঙ্কে।শনিবার হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের হরিশ্চন্দ্রপুর এবং মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন প্রক্রিয়া ছিল। এর আগে নিরাপত্তা জনিত কারণ দেখিয়ে এই দুইটি গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন প্রক্রিয়া স্থগিত করে রাখে প্রশাসন।তাই শনিবার সকাল থেকেই কার্যত নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছিল হরিশ্চন্দ্রপুর এবং মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েত চত্বর। মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাংরুয়া গ্রামে হরিশ্চন্দ্রপুর বিধানসভার বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী তাজমুল হোসেনের বাড়ি। আর সেই পঞ্চায়েতও এবার হাত ছাড়া হল তৃণমূলের।
২০ আসন বিশিষ্ট মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূল জিতে ছিল ৯ টি আসনে এবং জোটের দখলে ছিল ১০ টি। ১ টিতে জিতেছিল নির্দল। সিপিআইএম এবং কংগ্রেস জোটের দখলেই গেল মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েত। প্রধান হলেন মৌসুমী দাস এবং উপ-প্রধান জুল্লু রহমান।অন্যদিকে হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েত ও মন্ত্রীর গড়। হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েত দপ্তর থেকে ঢিল ছড়া দূরত্বে মন্ত্রীর কার্যালয়। আর সেখানেও উলট পুরান। কংগ্রেস সিপিআইএম এবং বিজেপি এক সাথে হাত ধরে পঞ্চায়েত দখল করল হরিশ্চন্দ্রপুরে। ৩০ আসন বিশিষ্ট হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল জিতে ছিল ১২ টি আসনে। কংগ্রেস সিপিএম জোটের দখলে গেছিল ১২টি। অন্যদিকে বিজেপির দখলে ছিল ৬ টি। কংগ্রেস এবং সিপিআইএম জোটকে সমর্থন করে বিজেপি।কংগ্রেসের পক্ষ থেকে আজিজা সুলতানা অন্যদিকে বিজেপি উপ-প্রধান হয়েছেন অজয় পাশওয়ান।হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকে তৃণমূলের এই বিপর্যয় নিয়ে মন্ত্রীর ভূমিকায় প্রশ্ন উঠেছে।তীব্র কটাক্ষ করেছে বিরোধীরা। তুঙ্গে উঠেছে রাজনৈতিক তরজা।