বাংলাদেশ; আল আমীন:- মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার করমদি গ্রামের চা বিক্রেতা হাফিজুল ইসলাম। ৪০ বছর ধরে চা বিক্রি করে নিজেই তৈরি করেছেন এক ব্যতিক্রমী চা রেসিপি। মসলা, আদা ও গরুর খাঁটি দুধ দিয়ে চা তৈরি করেন। এই চায়ের সুনাম এখন এলাকাজুড়ে।
শুধু চা নয়, চায়ের সাথে বিশেষভাবে প্রস্তুতকৃত চাল ভাজার আকর্ষণে বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষের ভিড় প্রতিদিনই বাড়ছে ভোজন প্রেমীদের।
দোকানের ভেতরে ও বাইরে চা আর চাল ভাজা খাওয়ার জন্য সব সময়ই অপেক্ষায় থাকেন বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা ক্রেতারা। গরম পানির সাথে বিভিন্ন ধরনের মসলা মেশানো নিয়ে ব্যস্ত হাফিজুল। মসলা, চিনি, আদা আর গরুর খাঁটি দুধে জ্বাল দিয়েই মূলত তৈরি হয় বিশেষ দুধ চা। যার প্রতি কাপের মূল্য ৪০-৬০ টাকা পর্যন্ত। একইসাথে হাফিজুল ইসলাম তৈরি করেন চাল ভাজা। বাড়িতে বিশেষ উপায়ে চাল ভেজে সাথে চানাচুর, কাঁচা মরিচ, পেঁয়াজ আর মসলা মিশিয়ে তৈরি করা হয় ভিন্ন স্বাদের চাল ভাজা। যার সাফল্যের চাবিকাঠি ক্রেতাদের তৃপ্ত করায় সাধারণ চা দোকানি থেকে হাফিজুল এখন অসাধারণ একজন মানুষ হিসেবে আলোচিত।
বামন্দী-তেঁতুলবাড়ীয়া প্রধান সড়কের পাশে গলির মধ্যে টিন আর কাঠের টং দোকানে হাফিজুল ইসলামের চা দোকান। ৪০ বছর আগে বাড়ির পাশে ছোট্ট এই জায়গায় চা বিক্রি শুরু হয়েছিল। দীর্ঘদিন ধরে চা তৈরির সাথে সম্পৃক্ত থাকার সুবাদে বিশেষ কিছু উদ্ভাবনের চেষ্টা ছিল সাধারণ এই চা দোকানির।
হাফিজুল ইসলাম জানান, সাত বছর বয়স থেকে তিনি চা দোকান চালু করেন। দীর্ঘ সময় চা বিক্রি করতে গিয়ে বিশেষ কিছু করার চিন্তা থেকেই মূলত তৈরি করেন এই রেসিপি। এলাকায় সুনাম ছড়িয়ে পড়ায় তিনি নিজেকে খুব গর্বিত মনে করেন।
হাফিজুলের দোকানে চা পান করতে আসা গাংনীর জোড়পুকুরিয়া গ্রামের মোকলেছুর রহমান স্বপন জানান, হাফিজুলের চায়ে বিশেষ স্বাদ রয়েছে। সেই টানেই আমি মাঝে মাঝে এখানে আসি।
বামন্দীর ক্লিনিক ব্যবসায়ী বিদ্যুৎ জানান, এই চা আসলেই বিশেষ চা। একবার কেউ এই চা পান করলে বারবার পান করতে মন চাইবে।
স্থানীয়রা বলছেন, সাধারণ চা দোকানির এই ব্যতিক্রমী চা গ্রামের সুনাম বৃদ্ধি করেছে। হাফিজুলের কারণে প্রতিবেশীরাও গর্বিত।