কখনো বাচ্চাকে গায়ে হাত তুলবেন না। শিশুটির আচরণে অনেক সমস্যা হবে।
আপনার নিউজ:- মারধোর, মানুষের মনের সরলতা কে আস্তে আস্তে নষ্ট করে। কাউকে ভবিষ্যতে পাসন্ড করে তুলে। তাই এই কাজটি থেকে বিরত থাকুন। শাসন অনেক ভাবে করা যায়। মনে রাখবেন, আপনি যদি চান আপনার বাচ্চা আপনাকে বন্ধু ভাবুক সেক্ষেত্রে মারধর করলে সেই সুযোগ হারাবেন। কেননা, বন্ধুরা মারে না এটাই সত্যি।
বাচ্চাদের জন্য অনেক সময় আমরা আলাদা কিছু খাবার রান্না করি। যেমন, বাসার সাধারণ রান্না মুরগী হয়তো সবাই খাচ্ছেন কিন্তু বাচ্চার জন্য হয়তো চিকেন পাস্তা করলেন। এক্ষেত্রে যেটা হয়, খাবারের ক্ষেত্রে সে নিজেকে স্পেশাল ভাবতে শুরু করে। তখন নানা রকম মর্জি করা শেখে। সোস্যাল হয় কম। তাই অবশ্যই সবার খাবারে মতই বাচ্চাকে খাওয়া শেখান। প্রয়োজনে স্পেশাল খাবার রান্না করলে সবাই মিলে খান। এতে শিশুটি বড় হয়ে সব জায়গায় নিজেকে খাপ খাওয়াতে শিখবে। ছোট বেলায় আলাদা ভাব আর আদর শিখালে এরা বড় হয়েও সব জায়গায় স্পেশাল কিছু আশা করে, আর তাতে ব্যঘাত ঘটলে তাদের মানুসিকতায় ও আচরণে সমস্যা হয়। তাই স্পেশাল না আপনার বাচ্চাকে সাধারণ ভাবাতে শিখান।
আরও পড়ুন : কিভাবে বাচ্চাদের সামাজিক শিক্ষা দেবেন
বাচ্চাদের সামনে কারো সাথে ঝগড়া করা থেকে বিরত থাকুন। তারাও শিখবে। কর্ম ক্ষেত্রে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে, শশুর বাড়িতে সব জায়গায় তাদের এই ঝগড়া মুড কাজ করবে। ঝগড়া করা আচরণের উপর প্রভাব ফেলে, এমনকি এদের সাইকোলজিও অন্য রকম হয়।
বিশেষ করে ধর্মীয় শিক্ষায় তাঁকে শিক্ষিত করুন। তাহলে আপনার সন্তান একটি আদর্শবান মানুষ ও সুসন্তান হবে।
সম্মোধন অনেক কিছু শিখায়। আপনার শিশুকে ভদ্রতা শিখান, কিন্তু বাসার লোক, ড্রাইভার, রিকশা ওয়ালা বা যেকোনো অচেনা মানুষকে আপনি সম্মোধন করা শিখান। এই সব বাচ্চারা বড় হলে অনেক বড় মর্যাদার আসনে বসতে পারে।
যাই হোক, আপনাদের শিশুকে আপনি যা শেখাবেন, সেটাই তার চরিত্র হবে। তাই আপনার শিশুকে মানুষের মত মানুষ করার লক্ষ্যে পড়ালেখার পাশাপাশি মানুষ হিসেবে গড়ে উঠার শিক্ষায় শিক্ষিত করুন!