Type Here to Get Search Results !

তৃণমূল সভাপতির বিতর্কিত মন্তব্যে সিলমোহর দিল জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি এবং আরেক জেলা পরিষদ সদস্য

ফুটবল টুর্নামেন্টের মঞ্চ থেকে নির্বাচনের সময় বিরোধীদের আক্রমণ করা নিয়ে ব্লক তৃণমূল সভাপতির বিতর্কিত মন্তব্যে সিলমোহর দিল জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি এবং আরেক জেলা পরিষদ সদস্য, উপস্থিত থাকলেন মন্ত্রীও, দলের অন্দরেই রাজনৈতিক সন্ত্রাসকে অক্সিজেন দিচ্ছে তৃণমূল, উঠেছে প্রশ্ন, তীব্র প্রতিক্রিয়া বিরোধীদের, শুরু রাজনৈতিক তরজ। 

মালদা;তনুজ জৈন;১৭ফেব্রুয়ারী: ফুটবল খেলার মাঠ থেকে ব্লক তৃণমূল সভাপতির বিরোধীদের আক্রমণ করা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের পাশে দাড়ালো দল। ওই টুর্নামেন্টের ফাইনালে গিয়ে সেই বক্তব্যেই সিলমোহর দিল জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি এবং আরেক জেলা পরিষদ সদস্য। উপস্থিত থাকলেন স্থানীয় বিধায়ক এবং রাজ্যের মন্ত্রীও। তিনিও নিজের দলের লোক সভাপতির মন্তব্য নিয়ে কোনরূপ নিন্দা করলেন না। প্রতিক্রিয়াও দিতে চাইলেন না। তারপরেই প্রশ্ন উঠেছে ভোটের জন্য তবে কি রাজনৈতিক সন্ত্রাসকে সম্পূর্ণভাবে প্রশ্রয় দিচ্ছে তৃণমূল। তীব্র আক্রমণ করেছে বিরোধীরা। 


মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের অন্তর্গত ভিঙ্গল গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের উদ্যোগে একটি ভিঙ্গল ফ্রেন্ডস কাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধনে হরিশ্চন্দ্রপুর ১ (এ) ব্লক তৃণমূল সভাপতি জিয়াউর রহমান বলেন ফুটবলে যেভাবে গোল বাঁচানোর জন্য আক্রমণ করা হয়। সেই ভাবে বিরোধীদের আক্রমণ করা হোক। ফুটবলে রেফারি থাকে লাল কার্ডের ভয় থাকে। ভোটের সময় কোন রেফারি থাকবে না। আর সেই সময় মঞ্চে বসে ছিলেন হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি মনোজিৎ সরকার। তার এই মন্তব্য নিয়ে ব্যাপক শোরগোল পড়ে যায়। সমালোচনার ঝড় উঠে রাজনৈতিক মহলে। তীব্র প্রতিক্রিয়া দেয় বিরোধীরা। কিন্তু তারপরও তৃণমূলের পক্ষ থেকে কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এবার ওই ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনালে গিয়ে নিজের বক্তব্য নিয়ে কোন ভাবে অনুতপ্ত হলেন না জিয়াউর রহমান। এদিন আবার পাশে উপস্থিত থাকলেন হরিশ্চন্দ্রপুরের বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী তাজমুল হোসেন।আর তার বক্তব্য কে সিলমোহর দিলেন মালদা জেলা পরিষদের সহকারি সভাধিপতি এটিএম রফিকুল হোসেন এবং জেলা পরিষদ সদস্য বুলবুল খান। তাদের দাবি উনি যেটা বলেছেন ঠিক বলেছেন। খেলা হবে বলেই একুশে তৃণমূল জিতেছিল। ভোটে বিভিন্ন ধরনের খেলা হয়। সেটা তিনি বলেছেন। এ দিনও জিয়াউর রহমান হুংকার দেন খেলা হবে। যদিও সংবাদ মাধ্যমের সামনে তার দাবি নির্বাচনের সময় রেফারি থাকে ইলেকশন কমিশন। বিধানসভা ভোট করে কেন্দ্রীয় বাহিনী। তিনি কর্মীদের উদ্বুদ্ধ করার জন্য সেটা বলেছিলেন। সিপিএমের দাবি পুলিশ সুপার যদি তৃণমূলের জেলা সভাপতির মতো কাজ না করে। আইসি যদি ব্লক সভাপতির মতো কাজ না করে। তবে ভোটের সময় খেলা দেখিয়ে দেবে মানুষ। সমগ্র ঘটনায় ফের শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
Tags

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad

Top Side