Type Here to Get Search Results !

আবাস যোজনায় প্রথম কিস্তির টাকা ঢুকতেই একাধিক উপভোক্তার কাছে কাটমানি চাওয়া এবং হুমকি দেওয়ার অভিযোগ কংগ্রেস পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামীর বিরুদ্ধে

আবাস যোজনায় প্রথম কিস্তির টাকা ঢুকতেই  একাধিক উপভোক্তার কাছে কাটমানি চাওয়া এবং হুমকি দেওয়ার অভিযোগ কংগ্রেস পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামীর বিরুদ্ধে, ভিডিও ভাইরাল সামাজিক মাধ্যমে, টাকা ঢোকার পর এক দুস্থ বৃদ্ধার কাছ থেকে জোর করে টিপছাপ নিয়ে টাকা তোলার চেষ্টা, সংবাদ মাধ্যমের ক্যামেরা দেখে ফিরিয়ে দিলেন স্লিপ, টাকা চাওয়ার কথা স্বীকার পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামীর, গুণধর স্বামীর কীর্তি মানতে নারাজ স্ত্রী, শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।


মালদা;তনুজ জৈন;২৭জানুয়ারি: আবাস যোজনার প্রথম কিস্তির টাকা ঢুকতেই বাড়ি বাড়ি গিয়ে কাটমানি চাওয়ার অভিযোগ। কারোর জন্য দশ হাজার কারোর মূল্য নির্ধারণ পনেরো হাজার।টাকা না দিলে পরবর্তী কিস্তির টাকা ঢুকবে না বলে হুমকি।আবার উপভোক্তাদের বোঝাচ্ছেন সেই কাটমানির টাকা দিতে হবে ব্লকের লোককে। পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামীর এমন ভিডিও ভাইরাল হতেই শোরগোল।গ্রাউন্ডজিরো তে গিয়েও দেখা গেল ভুরি ভুরি অভিযোগ উপভোক্তাদের। এমনকি এক বৃদ্ধার টাকা ঢুকতেই টিপছাপ নিয়ে টাকা তুলে নেওয়ার চেষ্টা। সংবাদ মাধ্যমের ক্যামেরা দেখে ভয়ে ফিরিয়ে দিলেন স্লিপ। টাকা চেয়েছেন সেটা নিজের মুখে আবার স্বীকার করে নিলেন পঞ্চায়েত সদস্যার ওই গুণধর স্বামী। যদিও স্বামীর কীর্তি মানতে নারাজ স্ত্রী। কংগ্রেস পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েতে দুর্নীতির এই অভিযোগ আসতেই আক্রমণ শানিয়েছে তৃণমূল এবং বিজেপি। শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।


মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের বড়ই গ্রাম পঞ্চায়েতের গহিলা গ্রামের ঘটনা। ওই বুথের কংগ্রেসের পঞ্চায়েত সদস্যা নিরুপমা দাসের(রায়) স্বামী সুপেন রায়ের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে। টাকা চাওয়ার তারই এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সামাজিক মাধ্যমে।এলাকায় বহু উপভোক্তার অভিযোগ প্রথম কিস্তির টাকা ঢুকতেই কারোর কাছে তিনি ১০ হাজার টাকা কাটমানি চাইছেন আবার কারোর কাছে ১৫ হাজার। তাদের প্রশ্ন একে তো এক লাখ কুড়ি হাজার টাকায় বর্তমান সময়ে পাকা বাড়ি হয় না। তার মধ্যে যদি কাটমানি দিতে হয় তবে তারা কি ভাবে ঘর করবে। এমনকি ডুমরি রায় নামে এক দুস্থ বৃদ্ধার একাউন্টে টাকা ঢুকতেই তা কে জোর করে স্লিপে টিপ ছাপ নেওয়া হয়। উদ্দেশ্য ছিল সিএসপি থেকে টাকা তুলে নেওয়ার। যদিও পরবর্তীতে সংবাদ মাধ্যমের ক্যামেরা দেখে সেই স্লিপ ফেরত দিয়ে দেন।এক সময় তৃণমূল পরিচালিত বড়ই গ্রাম পঞ্চায়েতে বন্যা-ত্রাণ দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছিল প্রধান। সেই দুর্নীতির কারণে তৃণমূলকে গত পঞ্চায়েত ভোটে প্রত্যাখ্যান করে মানুষ। তারপর কংগ্রেস সিপিএম জোট ক্ষমতায় আসে। সিপিএমের দাবি পঞ্চায়েত ব্যবস্থায় নবান্ন থেকে বুথ পর্যন্ত দুর্নীতি করছে রাজ্য সরকার। তাই সেখানে থেকে সদস্যরা বাধ্য হচ্ছে। বিজেপির কটাক্ষ কংগ্রেসের গর্ভ থেকে তৃণমূলের জন্ম। তাই দুজনেই দুর্নীতিতে সিদ্ধহস্ত। শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।

Tags

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad

Top Side