মালদা;তনুজ জৈন;২৪নভেম্বর: রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে শাসকদলের মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের অঞ্চল সভাপতি সঞ্জীব গুপ্তার ছবিতে ছয়লাপ হল হরিশ্চন্দ্রপুর । ছবির নিচে লেখা হল ‘রাজ্যের গদ্দারের সঙ্গে হরিশ্চন্দ্রপুরের গদ্দার। গদ্দার হটাও তৃণমূল বাঁচাও।’ শনিবার রাত থেকে সমাজমাধ্যমে ওই ছবি ভাইরাল হয়েছে। পাশাপাশি গোটা হরিশ্চন্দ্রপুর সদরজুড়ে বিভিন্ন দেওয়ালে পোস্টারে ছেয়েছে ওই ছবি।
তৃণমূলের খেয়ে পরে, চেয়ার দখল করে সঞ্জীব বিজেপির দালালি করছেন বলে সরব হয়েছেন তৃণমূল নেতা-কর্মীদের অনেকেই। তাকে সরাসরি গাদ্দার বলে নিশানা করে দল থেকে সরানোর দাবিও উঠতে শুরু করেছে। সঞ্জীব অবশ্য এই ছবি নিয়ে নোংরা রাজনীতি হচ্ছে বলে দাবি করেছেন। যদিও বিজেপির দাবি, এটা তো সবে ট্রেইলার ২০২৬ সালের বিধানসভা ভোটের আগে তৃণমূলের অনেক বড় নেতাই বিজেপিতে আসার জন্য লাইন দিয়ে রয়েছেন। যা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, হরিশ্চন্দ্রপুর অঞ্চল কমিটির সভাপতি সঞ্জীব এলাকায় জম্মু রহমান অনুগামী হিসাবে পরিচিত। যে ছবি ভাইরাল হয়েছে(ছবির সত্যতা যাচাই করেনি সংবাদমাধ্যম), তাতে দেখা যাচ্ছে একটি ঘরে সোফায় বসে রয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তার পাশে দাঁড়িয়ে রয়েছেন তৃণমূল নেতা সঞ্জীব। শনিবার রাত থেকে সমাজমাধ্যমে ওই ছবি ভাইরাল হতে শুরু করে। যারা ছবি পোস্ট করেন, তাদের অধিকাংশই তৃণমূলের নেতা-কর্মী। ছবির নিচে সঞ্জীবকে গাদ্দার বলেও সন্মোধন করা হয়েছে। গাদ্দার হটাও, তৃণমূল বাঁচাও বলেও লেখা রয়েছে ছবির নিচে। শুধু ফেসবুকেই নয়, সেই ছবি পোস্টারের আকারে ছড়িয়ে পড়ে হরিশ্চন্দ্রপুর সদর এলাকার বিভিন্ন পাড়ার দেওয়ালে, চায়ের দোকানে। সঞ্জীবের বিপক্ষ গোষ্ঠীর নেতারাই এমনটা করেছেন বলে দাবি করেছেন সঞ্জিব অনুগামীরা। অপর দিকে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে সঞ্জিবের অবশ্য দাবি, শুভেন্দু অধিকারি একসময় তৃণমূলে ছিলেন। আমরা একসঙ্গে দল করেছি। ফলে তার সঙ্গে সুসম্পর্ক ছিল। আমি পরিবার নিয়ে ঘুরতে গিয়ে ঘুরতে গিয়ে একটি হোটেলে ছিলাম। সেখানে শুভেন্দুবাবুও ছিলেন। আমাকে দেখে উনিই আমাকে ডাকেন। একসঙ্গে চা খাই। এটা তো সৌজন্যের রাজনীতি। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর প্রয়াণের পর আমাদের মুখ্যমন্ত্রীও তো বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে দেখতে গিয়ে ছিলেন। তা বলে কি উনি সিপিএম হয়ে গেলেন। আসলে এই ছবিকে নিয়ে কিছু মানুষ নোংরা রাজনীতি করতে আসরে নেমেছে।