Type Here to Get Search Results !

হরিশ্চন্দ্রপুরের কনুয়া ভবানীপুর হাই স্কুলের ট্যাব দুর্নীতি কাণ্ডের অন্যতম মূলমাথা গ্রেপ্তার ইসলামপুর থেকে

এবার হরিশ্চন্দ্রপুরের কনুয়া ভবানীপুর হাই স্কুলের ট্যাব দুর্নীতি কাণ্ডের অন্যতম মূলমাথা গ্রেপ্তার ইসলামপুর থেকে, সরকারি পোর্টাল হ্যাক করে একাধিক এটিএম এবং সিম কার্ড ব্যবহার করে দুর্নীতি, উঠে আসছে বিস্ফোরক তথ্য, আরো দুজন যুক্ত দাবি ধৃতের, সর্ষের মধ্যেই ভূত থাকার সম্ভাবনা, মুখে কুলুপ প্রধান শিক্ষকের, তদন্তে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ।

মালদা;তনুজ জৈন;২৭নভেম্বর: ট্যাব দুর্নীতি কান্ডের অন্যতম মূল মাথা গ্রেপ্তার।উদ্ধার একাধিক এটিএম সিম কার্ড পেনড্রাইভ থেকে শুরু করে মোবাইল এবং ল্যাপটপ। সরকারের পোর্টাল হ্যাক করে একাউন্ট নাম্বার চেঞ্জ করে টাকা আত্মসাৎ। জেরায় উঠে আসছে বিস্ফোরক তথ্য। জড়িত আছে আরও দুজন দাবী ধৃতের। সমগ্র ঘটনা নিয়ে মুখে কুলুপ প্রধান শিক্ষকের। তবে কি স্কুলের কেউ? সর্ষের মধ্যেই ভূত?উঠছে প্রশ্ন। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানিয়ে আদালতে পেশ।

 মালদা জেলায় ট্যাব দুর্নীতি কান্ড সারা ফেলে দিয়েছে রাজ্য-জুড়ে। ইতিমধ্যে এই চক্রের অনেকেই গ্রেফতার হয়েছে।এবার হরিশ্চন্দ্রপুরের কনুয়া ভবানীপুর হাইস্কুলের ট্যাব দুর্নীতির অন্যতম মূল মাথাকে গ্রেপ্তার করল হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ। ইসলামপুর থানার পুলিশের সহযোগিতায় গ্রেপ্তার অভিযুক্ত।ধৃতের নাম মোঃ মোবারক হোসেন।বাড়ি উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুর থানার এলাকায়।ধৃতের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে ৯৫ টি সিম কার্ড, ৬৫ টি এটিএম, বেশ কয়েক টি পেনড্রাইভ, দুটি মোবাইল এবং একটি ল্যাপটপ।উদ্ধার হওয়া জিনিস বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। মূলত মালদা জেলার যে তিনটি স্কুলে ট্যাব দুর্নীতি সামনে এসেছিল। তার মধ্যে এই কনুয়া ভবানীপুর হাই স্কুল।এখানে ৩৫ জন পড়ুয়ার ট্যাবের টাকা ঢুকে যায় অন্য একাউন্টে।এই ঘটনা সামনে আসতেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। স্থানীয় এবং অভিভাবকরা প্রধান শিক্ষক রাজা চৌধুরীর বিরুদ্ধে ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেন। যদিও সেই সময় প্রধান শিক্ষক ক্লার্কের উপর দায় চাপিয়ে ছিলেন। শুরু হয় সমগ্র ঘটনার তদন্ত। হরিশ্চন্দ্রপুর থানার সাব ইন্সপেক্টর অজয় সিং যিনি সাইবার বিভাগের কাজ করার অভিজ্ঞতা প্রাপ্ত। তিনি তদন্তের দায়িত্বভার পান। তদন্ত নেমে সামনে আসে বেশ কিছু তথ্য। বাংলার শিক্ষা পোর্টালে পড়ুয়াদের একাউন্ট নাম্বার যেখান থেকে পরিবর্তন করা হয়েছিল। সেই নাম্বার ট্র্যাক করে পুলিশ। সেখান থেকে উঠে আসে ধৃতের তথ্য। তারপরে উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুর থানার পুলিশের সহযোগিতায় অভিযুক্তকে হেফাজতে নেয় হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ। এই ঘটনায় আরো কারা জড়িত রয়েছে। জাল কতদূর পর্যন্ত বিস্তৃত।সমস্ত রহস্যের কিনারার জন্য জিজ্ঞাসাবাদের স্বার্থে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে সাত দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানিয়ে চাঁচল মহকুমা আদালতে পেশ করে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ।এদিকে প্রধান শিক্ষক রাজা চৌধুরী ক্যামেরার সামনে কোনো মন্তব্য করতে চাননি।
Tags

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad

Top Side