Type Here to Get Search Results !

বাংলায় রাম মন্দির,পুজো কমিটির মাথায় তৃণমূল নেতা! সেখানে রাম মন্দিরের থিম, মুখ্যমন্ত্রীর হাতে ভার্চুয়াল ভাবে উদ্বোধন

ফের বাংলায় রাম মন্দির, এবার যে পুজো কমিটির মাথায় তৃণমূল নেতারা সেখানে রাম মন্দিরের থিম, মুখ্যমন্ত্রীর হাতে ভার্চুয়াল ভাবে উদ্বোধন, উপস্থিত থাকলেন রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী, যে তৃণমূল রাম কে এতদিন বাংলার দেবতা না বলে প্রচার করত তারা এখন রাম নাম নিচ্ছে খোঁচা বিজেপির, রাম সকলের পালটা তৃণমূল।

মালদা;তনুজ জৈন;০৫অক্টোবর: এবার রামের স্মরণে তৃণমূল? গত বছর দূর্গা পুজোতে বিজেপি নেতা সজল ঘোষের ক্লাবে রাম মন্দিরের থিম নজর কেড়ে ছিল রাজ্যবাসীর। এবার আরেক পুজো কমিটির থিম রাম মন্দির। যে কমিটির মাথায় রয়েছে স্থানীয় তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা।ভার্চুয়ালি যে পুজোর উদ্বোধন করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকলেন স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী। শেষ সময়ে সকলেই রাম নাম নেয়। বুঝতে পেরেছে রাম ছাড়া আর কেউ বাঁচাতে পারবে না। পুজোর থিম নিয়েও এই ভাবেই কটাক্ষের সুর বিজেপির গলায়। রাম মন্দির দেশের সম্পদ। যারা দেখতে যেতে পারেন নি তাদের জন্য এই থিম দাবি পূজা উদ্যোক্তাদের। আমরা বামপন্থীদের মতো পুজোর বিরোধিতা করি না। আবার বিজেপির মত ইস্যু নিয়ে রাজনীতি না। রাজ্য সরকার প্রত্যেক পূজা কমিটি কে অনুদান দেয়। রাম সকলের পাল্টা দাবি তৃণমূলের। 

মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার তুলসীহাটা নেতাজি স্পোর্টিং ক্লাবের দুর্গাপুজোর থিম রাম মন্দির নিয়ে এই ভাবেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। ৩৯ তম বর্ষে নেতাজি স্পোর্টিং ক্লাবের এই বছরের থিম অযোধ্যার রাম মন্দির। সেই আদলেই তৈরি হয়েছে প্যান্ডেল। ইতিমধ্যেই চাঁচল মহকুমায় সারা ফেলেছে এই থিম। পুজোতে ব্যাপক ভিড় হবে বলে মনে করা হচ্ছে। পুজোর বাজেট মোট ১২ লক্ষ টাকা। শুক্রবার সন্ধ্যায় ভার্চুয়ালি এই পূজোর উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। হরিশ্চন্দ্রপুরের বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী তাজমুল হোসেন সেই সময় উপস্থিত ছিলেন ক্লাব প্রাঙ্গণে। ভার্চুয়ালি উদ্বোধন হওয়ার পর ফিতে কেটে কেটে এর পর উদ্বোধন করেন তাজমুল হোসেন। এই পুজো কমিটির উদ্যোক্তাদের অনেকেই সরাসরি তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত। আর তারাই করেছে রাম মন্দিরের থিম। তাই বিজেপির গলায় কটাক্ষের সুর। কারণ এতদিন রাম এবং রাম মন্দির নিয়ে বিজেপিকে বারবার রাজনীতির খোটা দিয়েছে তৃণমূল। যদিও তৃণমূলের দাবি রাম কারোর একার নয়। আর কোন পুজো কমিটি কি থিম করবে সেটা তাদের স্বাধীনতা। বিজেপি এখানে রাজনীতি করতে গেলে একদম মুছে যাবে। সমগ্র ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। অন্যদিকে বিজেপির দাবি যে তৃণমূল এতদিন রামকে বাংলা এবং বাঙালির দেবতা না বলে প্রচার করার চেষ্টা করেছে। তারা আজ রামের নাম নিচ্ছে। রামের দ্বারা যে দেবে দুর্গার অকালবোধন হয়ে ছিল এবং রাম বাংলার সঙ্গে জড়িত সেটা প্রমাণিত।

এক পূজা উদ্যোক্তা ক্লাব সম্পাদক তথা তৃণমূল কর্মী রাজ কিশোর রাম বলেন,এই বছর আমাদের থিম রাম মন্দির। বাজেট ১২ লক্ষ টাকা। অনেকেই রাম মন্দির দেখতে যেতে পারেননি। তাদের জন্য এই থিম। এখানে রাজনীতির কোন বিষয় নেই।

তৃণমূল নেতা দুলাল সরকারের দাবি, একটি এলাকার পুজো কমিটি সেখানকার মানুষদের জন্য যে থিম করেছে সেটা তারা করতেই পারে। তৃণমূল সর্বধর্ম সমন্বয়ের কথা বলে। বামপন্থীদের মতো পুজো বিরোধী না। আমরা প্রত্যেকে ঘরে রামের পূজা করি।

বিজেপি নেতা অম্লান ভাদুড়ীর কটাক্ষ, এক সময় রামকে নিয়ে অনেক আপত্তি ছিল তৃণমূলের। অনেক অপপ্রচারের চেষ্টা করত। সেটা আজ ব্যর্থ। রাম যে বাংলার সঙ্গে জড়িত সেটা আবার প্রমাণিত।



Tags

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad

Top Side