হরিশ্চন্দ্রপুর গুলি কাণ্ডে প্রাথমিক তদন্তে উঠে এলো বিস্ফোরক তথ্য, গুলিবিদ্ধ ব্যক্তি এক সময়ের কুখ্যাত ডাকাত, বর্তমানে চালাতেন গাঁজার ব্যবসা, আরেক গাঁজা ব্যবসায়ীর সঙ্গে বিবাদ চলছিল তার, এমনকি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ক্যামেরার সামনে গুলিবিদ্ধ ব্যক্তির দাবি থানার প্রাক্তন আইসি তাদের ব্যবসার সব কথা জানতেন।
মালদা;তনুজ জৈন;০৬সেপ্টেম্বর: প্রাথমিক তদন্তে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর গুলি কাণ্ডে উঠে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য। গুলিবিদ্ধ ব্যক্তি কোন সাধারণ ব্যবসায়ী নয়। এক সময়ের কুখ্যাত দুষ্কৃতী এবং ডাকাত। বর্তমানে যিনি রমরমিয়ে গাজার ব্যবসা চালাচ্ছিলেন। তার এলাকারই আরেক গাজা ব্যবসায়ীর সঙ্গে তার বিবাদ চলছিল। সেই বিবাদের জেরেই গুলি চলার সম্ভাবনা বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে। তবে গুলিবিদ্ধ ওই ব্যক্তি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সংবাদ মাধ্যমের ক্যামেরার সামনে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন। তার দাবি হরিশ্চন্দ্রপুর থানার প্রাক্তন আইসি দেওদুত গজমের তাদের গাজার ব্যবসার কথা জানতেন। তিনি থাকাকালীন ব্যবসার রমরমা শুরু হয়। তবে কি পুলিশকে ম্যানেজ করেই শুরু হয়ে ছিল ব্যবসা। এই নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন?
প্রসঙ্গত এই দেওদূত গজমের লোকসভা ভোটের আগে বদলি হয়ে যান। বর্তমানে আইসির দায়িত্বে রয়েছেন মনোজিৎ সরকার। প্রসঙ্গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েতের ওয়ারী এলাকায় গুলিবিদ্ধ হন কুস্তুরিয়া এলাকার বাসিন্দা শচিন পোদ্দার(৫৮)। তিনি এবং তার ছেলে দাবি করেন তারা বাইকে করে হাট থেকে ফিরছিলেন। সেই সময় আরেকটি বাইক পেছন দিক থেকে গুলি চালায়। হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি মনোজিৎ সরকারের নেতৃত্বে শুরু হয় তদন্ত। তদন্তের ১২ ঘণ্টার মধ্যেই উঠে এসেছে এসব বিস্ফোরক তথ্য। সংবাদ মাধ্যমের ক্যামেরার সামনেও সমস্ত কথা স্বীকার করেছেন শচীন পোদ্দার। তার দাবি আরেক গাজা ব্যবসায়ী সঞ্জয় পোদ্দারের সঙ্গে তার ঝামেলা চলছিল। দুই বছর ধরে তিনি গাজার ব্যবসা করতেন। গাজা আনতেন রায়গঞ্জ থেকে।এর আগে ডাকাতি কেসে বেশ কয়েকবার জেল খেটেছেন। হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ সমগ্র ঘটনা খতিয়ে দেখছে। সঞ্জয় পোদ্দারকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ। অন্যদিকে প্রাক্তন আইসি দেওদুত গজমএরের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান এই ব্যক্তিকে তিনি চেনেন না। এইসব বিষয় তিনি কিছুই জানেন না।