Type Here to Get Search Results !

অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন বুলবুল, তার সাহায্যে অন্ধকার জীবনে আশার আলো রুমার

হঠাৎ করে জ্বরে দেড় বছর আগে দৃষ্টিশক্তি হারানোর পর যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছেন স্বামী, ছোট্ট কন্যা সন্তানকে নিয়ে গৃহবধূ ঠাঁই নিয়েছেন বাবার বাড়িতে, চিকিৎসা করাতে গিয়ে পথে বসার উপক্রম দিনমজুর বাবার, সেই অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন বুলবুল, তার সাহায্যে অন্ধকার জীবনে আশার আলো রুমার।


মালদা;তনুজ জৈন;১০সেপ্টেম্বর: যখন দৃষ্টি শক্তি ফিরে পাওয়ার সমস্ত আশা হারিয়ে ফেলেছিলেন। ছোট্ট কন্যা সন্তানকে নিয়ে তার মেয়ে কিভাবে সারা জীবন অতিবাহিত করবে। তা ভেবে দুশ্চিন্তায় ভেঙে পড়েছিলেন দিনমজুর বাবা। তখন মানব দরদী নেতার সাহায্যে অন্ধকার জীবনে আশার আলো সঞ্চার করলো অসহায় গৃহবধূর।মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভবানীপুর গ্রামের বাসিন্দা রুমা খাতুন। প্রায় চার বছর আগে তার বিয়ে হয় সাগর আলী নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে। তাদের একটি কন্যা সন্তান হয়। সাগর পেশায় পরিযায়ী শ্রমিক। সব কিছু ঠিকঠাক চলছিল। কিন্তু ১৫ মাস আগে হঠাৎ করে সব বদলে যায়। জ্বরে আক্রান্ত হন রুমা। চলে যায় দুই চোখের দৃষ্টি শক্তি। তারপর থেকে স্বামী সাগর আর তার দিকে ফিরে তাকাইনি। সে দিল্লিতে কাজ করে। খোঁজ নেয় না স্ত্রী এবং কন্যা সন্তানের। রুমা তিন বছরের কন্যা সন্তানকে নিয়ে ঠাই নেন বাবার বাড়িতে। সেখানে তার আরো তিন বোন এবং এক ভাই। বাবা পেশায় দিনমজুর। দিন এনে দিন খাওয়া সংসার। তারমধ্যেই রুমার চিকিৎসার চেষ্টা করেন বাবা সাজিমুদ্দিন। কিন্তু তাতে কোন ফল হয়নি।এদিকে চিকিৎসার খরচ জোগাতে দিনমজুর বাবা হিমশিম খাচ্ছিলেন। চোখের চিকিৎসার জন্য নেপালের সুনাম রয়েছে। 


উত্তরবঙ্গের বহু এলাকার মানুষ সেখানে যায়। কিন্তু রুমাকে নিয়ে যাওয়ার জন্য অর্থ ছিল না বাবার কাছে। রুমা খাতুন লক্ষীর ভান্ডার পান না। আবাস যোজনার ঘর পর্যন্ত মেলেনি। সরকারি সুবিধা বলতে শুধু রেশন পান। তার এই দুরাবস্থায় কেউ পাশে এসে দাড়াচ্ছিল না। কিন্তু রুমার এই অসহায়তার কথা জানতে পারেন জেলা পরিষদ সদস্য বুলবুল খান। রাজনীতির বাইরে সমাজসেবী হিসেবে সমগ্র হরিশ্চন্দ্রপুর জুড়ে যার খ্যাতি রয়েছে। করোনা থেকে বন্যা, কারুর মেয়ের বিয়ে থেকে চিকিৎসা। সবসময় ব্যক্তিগত ভাবে এগিয়ে যান সাহায্য করতে। এক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। মঙ্গলবার বুলবুল খান রুমার বাড়িতে যান। সাথে ছিলেন পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য স্বপন আলী। ব্যক্তিগত ভাবে আর্থিক সাহায্য করেন বুলবুল। তার সাহায্য পেয়ে আবার চিকিৎসার জন্য আশার আলো দেখতে শুরু করেছে রুমা এবং তার পরিবার।বুলবুল খান নিজে আবেদন জানিয়েছেন প্রশাসন এবং আরো স্বহৃদয় মানুষ যাতে পরিবারের পাশে দাড়ায়। বুলবুল খানকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন রুনা এবং তার পরিবার।

Tags

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad

Top Side