কলকাতা; আপনার নিউজ:- ৯ ই আগস্ট কলকাতার বুকে ঘটে যাওয়া জঘন্যতর অপরাধের তদন্ত করছে সিবিআই। আর অন্যদিকে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ করে খুনের ঘটনাকে হাতিয়ার করে রাজনৈতিক ময়দানে নেমে পড়েছে শাসক থেকে বিরোধী। একজন মহিলার উপর এমন অত্যাচার দেখে শিহরিত হয়ে উঠেছে গোটা দেশ। দোষীদের বিচারে দাবিতে রাজ্যজুড়ে চলছে প্রতিবাদ। এর মাঝেই মঙ্গলবার নবান্ন অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছে 'ছাত্র সমাজ' নামক অরাজনৈতিক মঞ্চ থেকে। যদিও তাদের দাবি মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ। এর পেছনে রাজনৈতিক মদত রয়েছে তার অভিযোগ করা হয়েছে তৃণমূলে পক্ষ থেকে। অন্যদিকে বুধবার ২৮ সে আগস্ট তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস।
তৃণমূলে ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস নিয়ে প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে ইতিমধ্যেই। সব জেলাতে নির্দেশ চলে গেছে এই সমাবেশ ঘিরে। ২১ জুলাই দলের শহিদ সমাবেশ সফল করতে যেভাবে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল, প্রায় সেই ধাঁচেই এবারও চরম তৎপরতা শাসকদলের অন্দরে। শনিবার তৃণমূলের খবর, সব জেলা নেতৃত্বকে বার্তা পাঠিয়ে সমাবেশে ছাত্র-যুবদের উল্লেখজনক উপস্থিতি নিশ্চিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বার্তা পাঠানো হয়েছে তৃণমূলের সব প্রাক্তন ছাত্র পরিষদের সভাপতিকে সমাবেশে হাজির থাকার জন্য। বুধবারের সমাবেশ সাফল্যমণ্ডিত করতে তাঁদের আগাম প্রচার করার কথাও বলা হয়েছে।
সভায় বক্তব্য রাখবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তৃণমূলে সর্বভারতীয় নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ রাজ্য তৃণমূলে নেতৃত্বরা। এদিন তৃণমূল ছাত্র পরিষদ সূত্রের খবর, বুধবার সংগঠনের পক্ষ থেকে একটি ‘স্মরণিকা’ প্রকাশ করা হবে। স্মরণিকায় রাজ্যে সংগঠনের অতীত ও বর্তমান ইতিহাসের কথা থাকবে। সংগঠনের সব প্রাক্তন সভাপতির অভিজ্ঞতা সহ লেখাও থাকছে। ইতিমধ্যে মালদা জেলা স্তরে সংগঠনের পক্ষ থেকে একটি স্মরণিকা প্রকাশ করা হচ্ছে।
আরজি কর কাণ্ড নিয়ে দোষীদের ফাঁসির দাবিতে প্রথম দিন থেকে সোচ্চার হয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ১৬ ই আগস্ট এর প্রতিবাদে নেমেছিলেন কলকাতা রাজপথে। তবে আরজি কর ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজ্যের বিরোধী দলগুলো যেভাবে মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করছে, তা নিয়ে সিঁদুরে মেঘ দেখছে শাসক দল। বিরোধীদের রাজনৈতিক চক্রান্তের পালটা জবাব দিতে মুখ্যমন্ত্রী বুধবার ছাত্র পরিষদের সমাবেশে সোচ্চার হবেন। বিরোধীদের চক্রান্তের জবাব দেবেন। এমনটা মনে করছেন রাজ্যের রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
