দিলদার আলী; আপনার নিউজ:- কুশমন্ডি-দলীয় কার্যালয়ের আধিপত্য কার দখলে থাকবে এ নিয়ে তৃণমূলের অন্তর্কলহ। শাসকদল তৃণমূলের দলীয় কার্যালয় কার দখলে থাকবে এই দাবীদাওয়া কে নিয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর দ্বন্দ্ব এবার প্রকাশ্যে চলে এলো। দলীয় কার্যালয়ের চাবি রাখাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে চলে কাদা ছড়াছড়ি। দলীয় কার্যালয়ের দখল কার হাতে থাকবে এই প্রশ্নকে ঘিরে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে আসে। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুশমন্ডি ব্লকের তৃণমূল কার্যালয়কে কেন্দ্র করে।
জানা যায়, ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক বরুণ সাহা অভিযোগ করেন, লোকসভা ভোটের পর থেকে কোনো এক অজানা কারনে তৃণমূল কার্যালয় খোলা হচ্ছে না। তৃণমূল কার্যালয় খোলার ব্যাপারে দলের ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও তারা কোনো কর্ণপাত করেননি এমনটাই অভিযোগ তার। প্রসঙ্গত কয়েকদিন আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় তার এলাকার অনুন্নয়নের কথা তুলে ধরে তারই দলের নেতাকর্মীদের কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বরুন বাবু। আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলের যে গোষ্ঠী কোন্দল মাথাচাড়া দিচ্ছে তার জ্বলন্ত উদাহরণ বরুন বাবু এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।
এই প্রসঙ্গে কুশমন্ডি ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি করিমুল ইসলাম জানান, ' ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক বরুন সাহা মানসিক রোগে ভুগছেন। দলীয় কার্যালয় খোলাকে কেন্দ্র করে তিনি যে দাবি করছেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। কারণ দলীয় কার্যালয়ের চাবি তার হাতেই রয়েছে। কুশমন্ডি তৃণমূলের দলীয় কার্যালয় থেকে তার বাড়ির দূরত্ব মাত্র ২০০ মিটার। বরুণ বাবুকে দলীয় কার্যালয় খুলতে কেউ বাধা দেয়নি। ব্লক সভাপতি আরোও দাবি করেন, দলীয় কার্যালয়ে প্রতিদিন খোলা হয়। নিয়ম অনুযায়ী যারা কার্যালয়ে প্রবেশ করে তাদের সেখানে সই করতে হয় গত 25 তারিখ তৃণমূল কার্যালয়ে খোলা হয় জানান ব্লক তৃণমূল সভাপতি করিমুল ইসলাম।ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক বরুন সাহাকে কটাক্ষ করে ব্লক সভাপতি করিমুল ইসলাম বলেন, তিনি সব সময় নিজেকে সমাজসেবক হিসেবে পরিচয় দেন, তাহলে নিজের এলাকার জঞ্জাল পরিষ্কারের ব্যাপারে তিনি নিজে কেন উদ্যোগ গ্রহণ করছেন না? গতকাল সোশ্যাল মিডিয়ায় তার এলাকার অনুন্নয়ন নিয়ে তিনি যে সরব হয়েছেন তাতে প্রমাণ করে বরুণ বাবু মানসিক রোগে ভুগছেন এমনটাই কটাক্ষ করেন কুশমন্ডি ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি করিমুল ইসলাম।