আপনার নিউজ ডেক্স:- আরজি কর হাসপাতালে ডাক্তার ছাত্রীর ধর্ষণ করে খুন করার অভিযোগে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। ইতিমধ্যেই দেশজুড়ে চলছে প্রতিবাদ। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর পক্ষ থেকে দোষীদের ফাঁসির সওয়াল করা হলেও আন্দোলন থামছে না। শহর কলকাতা থেকে রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে ডাক্তাররা এর বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছে। রবিবার পর্যন্ত তদন্তের শেষ তারিখ বেধে দিয়েছেন মমতা। নক্কার জনক এই ঘটনার প্রতিবাদে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ১৪ই আগস্ট রাত জমায়েতের প্রস্তুতি শুরু করা হয়েছে মহিলাদের পক্ষ থেকে।
আর এই বিষয়ে ফেসবুকে সিপিএম এবং বিজেপিকে খোঁচা দিয়ে পোস্ট করলেন তৃণমূল নেতা কুনাল ঘোষ। মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্ট এই নির্দেশ দিয়েছে। তাতে অক্সিজেন পেয়েছে সিপিএম এবং বিজেপি। মঞ্চ বেঁধে মাঝরাতে আরজি কর হাসপাতালে সিপিএমের ছাত্র–যুব–মহিলারা বিক্ষোভের ডাক দিয়েছেন ১৪ অগাস্ট রাতে। এসএফআই ও ডিওয়াইএফআই সংগঠনের মহিলারা অবস্থান বিক্ষোভের ডাক দিয়েছেন। তাই সিপিএমকে আক্রমণ করে কুণাল ঘোষ ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘সিপিএমের বিপ্লবীরা আগে বর্ণালী দত্ত, ডাঃ অনিতা দেওয়ান, তাপসী মালিক, ধানতলা, নন্দীগ্রামের হিসেব দিক। রোজ রাত আর ভোরে এই বাংলায় অসংখ্য মা, বোন যাতায়াত করেন। গ্রাম থেকে স্টেশন, রেল ধরে শহর। কতরকম কাজ। দেখুন। বুঝুন। রাত জমায়েতের নাটক দরকার নেই।’
এর পাশাপাশি কুনাল তার ফেসবুক পোস্টে লিখেন, কমরেডস, কোচবিহারে নার্স বর্ণালী দত্তকে ধর্ষণ করে খুন। বানতলায় চিকিৎসক ডাঃ অনিতা দেওয়ানকে ধর্ষণ করে খুন। ধানতলা, সিঙ্গুর, নন্দীগ্রাম। আচ্ছা, হেতাল পারেখের আসল ধর্ষক, খুনি ধরা পড়েছিল?
তারপর এখন বড় বড় কথা কীসের? আরজিকরের ঘটনা জঘন্য। 24 ঘন্টায় একজন গ্রেপ্তার। মুখ্যমন্ত্রী কঠোর অবস্থান নিয়ে যা যা করার করছেন। যা বলার বলেছেন। তারপর সিপিএম, বিজেপি নিজেদের ধোয়া তুলসীপাতা সাজিয়ে জ্ঞান দিচ্ছে। ঘটনার প্রতিবাদ, নিন্দা হোক। কিন্তু বাম, বিজেপির নাটক বরদাস্ত নয়।
ইতিমধ্যে এই ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক ময়দানে নেমে গেছে সিপিএম এবং বিজেপি। সূত্রের খবর অনুসারে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বিজেপি বিধায়কদের নিয়ে ধরনায় বসবেন বলে জানিয়েছেন। সেখানে তাঁদের একটাই দাবি থাকবে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ চাই। ইতিমধ্যেই আরজি কর হাসপাতালের ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী, কৌস্তভ বাগচীরা। সেই জনস্বার্থ মামলার উপর ভিত্তি করে এই নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। এদিকে সিবিআই তদন্ত দিতেই খুশি সিপিএম–বিজেপি।