সুশোভন সিংহ; বুনিয়াদপুর:- গোটা রাজ্যের পাশাপাশি বুনিয়াদপুর শহরে আরজি কর ঘটনার প্রতিবাদে দুই ঘন্টার প্রতীকি ধর্মঘটে সামিল হয় বিজেপি। সেই ধর্মঘট থেকে স্লোগান উঠে 'দফা এক দাবি এক, মমতার পদত্যাগ'। এদিন দুপুর তিনটে নাগাদ বিজেপির কর্মী সমর্থকেরা বুনিয়াদপুরে ট্রাফিক মোড়ে ৫১২ নম্বর জাতীয় সড়কে অবরুদ্ধ করে দেয়। জাতীয় সড়কের ওপরে বসে পড়েন বিজেপির কর্মী সমর্থকেরা। সেখান থেকে আরজি কর হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের হত্যাকারীদের কঠিন শাস্তির দাবি করা হয়।
গতকাল বিধানসভার বিরোধী দলনেতা তথা বঙ্গ বিজেপির অন্যতম নেতৃত্ব শুভেন্দু অধিকারীর মুখে শোনা যায় 'দফা এক দাবি এক,মমতার পদত্যাগ' এই স্লোগানটি। এই বিষয়ে তৃণমূলের অভিযোগ, বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলনের কায়দায় আরজি করের ডাক্তারদের আন্দোলনকে হাইজ্যাক করতে চাইছে সিপিএম ও বিজেপি।
এদিন বুনিয়াদপুরে প্রায় ঘন্টাখানেক পথ অবরোধ করেন বিজেপির কর্মী সমর্থকরা। এর ফলে ৫১২ নম্বর জাতীয় সড়ক এবং ১০ নম্বর রাজ্য সড়কে যানজট সৃষ্টি হয়। এই কর্মসূচিতে কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা যেন না ঘটে সেজন্য পুলিশ প্রশাসনের উপস্থিতি ছিল যথেষ্ট লক্ষণীয়। অবরোধ নিয়ে বিজেপির দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা সম্পাদক ক্ষিতীশ মাহাতো জানান, 'তৃণমূল ইচ্ছে করে আরজি কর কাণ্ডে সঠিক দোষীদের গ্রেফতার করেনি,রাজ্যে মহিলা মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন মহিলাদের কোন সুরক্ষা নেই এর প্রতিবাদে আমরা গোডা দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা জুড়ে রাজ্যের নির্দেশে দু'ঘণ্টা প্রতীকি ধর্মঘট করছি।
যদিও জেলায় বিজেপির এই কর্মসূচি কে নাটক বলে আখ্যা দিয়েছেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূল সভাপতি সুভাষ ভাওয়াল। সুভাষ টেলিফোনে আমাদের জানান, ' রাম-বাম মিলে বাংলাদেশী কায়দায় রাজ্যে নৈরাজ্য সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে, সাধারণ মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপরে আস্থা রাখে, বিরোধীদের এই চক্রান্ত কিছুতেই সফল হবে না"। এর পাশাপাশি সুভাস ভাওয়াল বলেন, ' ঘটনার প্রথম দিন থেকেই দোষীদের ফাঁসির দাবিতে সাওয়াল করেছেন মুখ্যমন্ত্রী, তদন্তভার এখন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার উপরে। তৃণমূল চায় দ্রুত দোষীদের শাস্তির আওতায় নিয়ে আসা হোক,"।