আপনার নিউজ ডেক্স:- ভারত বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্তে কড়া নজরদারিতে ব্যস্ত বিএসএফ। ইতিমধ্যেই ওপার বাংলা থেকে শতশত শরণার্থী সীমান্তবর্তী এলাকা গুলোতে ভিড় জমাতে শুরু করেছে। এমতাবস্থায় বিএসএফকে সতর্ক করা হয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পক্ষ থেকে। গোয়েন্দারা মনে করছেন এই শরণার্থীদের ভিড়ে রাজ্যে ঢুকতে চাইছে বাংলাদেশের কিছু নিষিদ্ধ জঙ্গিরা। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের আশঙ্কা, শরণার্থীদের ভিড়ে মিশে পশ্চিমবঙ্গে ঢুকতে চাইছে বাংলাদেশের জেল ভেঙে পালানো ২৭ জন জঙ্গি। এ ব্যাপারে বিএসএফকে ফের অমিত শাহের মন্ত্রক থেকে বিশেষ সর্তকবার্তা পাঠানো হয়েছে বলে সূত্রের খবর। নির্দেশে পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ২৪ ঘণ্টায় কড়া নজরদারি রাখতে হবে।
বিএসএফ সূত্রের খবর, বাংলাদেশের জেল ভেঙে পালানো ২৭ জঙ্গির মধ্যে রয়েছে আল কায়েদার কিউআইএসের সেকেন্ড ইন কমান্ড ইমানুল হক ওরফে আবু তালহা এবং জেএমবির সোহেল মাফুজ। এই তালহা ভারতে আল কায়েদার মডিউল তৈরির অন্যতম কারিগর। অন্যদিকে সোহেলই হল খাগড়াগড় বিস্ফোরণ ও ঢাকার হোলি আর্টিজেন কাফে হামলার অন্যতম অভিযুক্ত। এছাড়াও বাংলাদেশের জেল ভেঙে পালানো জঙ্গিদের তালিকায় রয়েছে তালহার ভারতীয় স্ত্রী জেএমবির নারীশক্তি ইউনিটের ফারিয়া আফরিন। পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খণ্ড, মধ্যপ্রদেশ ও গুজরাটের বিভিন্ন থানা এলাকায় ১০টির বেশি মামলা রয়েছে তালহা ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে। এছাড়াও জেল ভেঙে পালানো বন্দিদের তালিকায় রয়েছে আনসার আল ইসলামের নিয়ামাতুল্লা (হরিদেবপুরের জঙ্গি মডিউলের মাথা) ও তার দুই শাগরেদ আব্দুল আলিম ও জাকারিয়া মণ্ডলও।
বাংলাদেশে অন্তবর্তী সরকার গঠনের পর থেকে দেশটিতে মাথা ছাড়া দিতে শুরু করেছে নিষিদ্ধ ইসলামিক জঙ্গি সংগঠন গুলো। হাসিনার পদত্যাগের পর থেকেই বাংলাদেশে অশান্তির পরিবেশ সৃষ্টি করতে শুরু করেছিল এই জঙ্গি সংগঠনের উত্তরসূরীরা। সূত্রের খবর গোটা বাংলাদেশ জুড়ে প্রায় ৫০০ জন অপরাধী জেল ভেঙ্গে পালিয়েছে। নরসিংদি, শেরপুর, সাতক্ষীরা, কুষ্টিয়া, গাজিপুর ও জামালপুর জেল ভাঙার ঘটনা ঘটে। ওই জেলগুলিতে অন্তত ১২০০ কুখ্যাত অপরাধী ছিল। তাদের সিংহভাগ অংশই শরনার্থী সেজে পশ্চিমবঙ্গ দিয়ে ভারতে ঢোকার চেষ্টা করছে বলে জানতে পেরেছে গোয়েন্দা দফতর। এরপর থেকেই সক্রিয় হয়েছে ভারতীয় স্বরাষ্ট্র দপ্তর। ইতিমধ্যেই বিএসএফ কে কড়া বার্তা দেয়া হয়েছে এ বিষয় নিয়ে। ভারত আপাতত বাংলাদেশী কোন শরণার্থী জায়গা দেবে না।