আপনার নিউজ ডেক্স :- গত তিন মাস ধরে বাংলাদেশ উত্তাল হয়েছিল বৈষম্যমূলক ছাত্র আন্দোলনে। চলতি মাসের ৫ আগস্ট গণবিক্ষোভে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী হাসিনা। পরবর্তী সময়ে ৮ আগস্ট নোবেল জয়ী বাঙালি ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার শপথ নেয় বাংলাদেশ। কিন্তু বাংলাদেশে ক্ষমতার পালাবদলের পর হঠাৎই ভারতীয় উপকূলের কাছাকাছি চলে এসেছে চিনের তিনটি চরজাহাজ। আন্তর্জাতিক জলসীমায় থাকা ওই তিনটি জাহাজের পরবর্তী গন্তব্য বঙ্গোপসাগর কি না, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু হয়েছে আন্তর্জাতিক মহলে।
সংবাদ মাধ্যমের এক প্রতিবেদনের দাবি, শ্রীলঙ্কার দক্ষিণ-পূর্ব থেকে শুরু করে মূল ভারতীয় ভূখণ্ড এবং আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের মাঝামাঝি আন্তর্জাতিক জলসীমায় অবস্থান করছে শিয়াং ইয়াং হং ০৩, জ়োং শান ডা শু এবং ইউন ওয়াং ৭ নামে তিনটি চিনা জাহাজ। এর মধ্যে জ়োং শান ডা শু চিনের ‘সামুদ্রিক গবেষণাগার’ নামে পরিচিত।১১৪.৩ মিটার দীর্ঘ এবং ১৯.৪ মিটার প্রস্থ ৬৮০০ টনের জাহাজটি চিনের বৃহত্তম গবেষণা জাহাজ।
চীন সর্বদা বঙ্গোপসাগরে নিজেদের আধিপত্য বিরাজ করতে আগ্রহী। নানান সময় শ্রীলংকা কিংবা বাংলাদেশকে হাতিয়ার করে বঙ্গোপসাগরে নিজেদের আধিপত্য বাড়াতে চেয়েছে চিন। উপগ্রহচিত্রে ইতিমধ্যেই চিনা জাহাজের অবস্থান চিহ্নিত হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে অনুমান, ভারতের পরমাণু এবং ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির উপর নজরদারি করতেই বার বার উপকূলের কাছে আসছে চিনা যুদ্ধজাহাজগুলি। ভারতের কাছে যে বিষয়টি আরও উদ্বেগের, তা হল অদূর ভবিষ্যতে শ্রীলঙ্কা বা মলদ্বীপের মতো চিনা নজরদারি জাহাজের ‘ঘাঁটি’ হত পারে বাংলাদেশের কোনও বন্দর বা পোতাশ্রয়। কারণ, সে দেশের বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের একাংশের সঙ্গে চিনের ‘ঘনিষ্ঠতা’ রয়েছে।