পল্লবী সান্যাল, কলকাতা: ‘দফা এক ,দাবি এক ,মমতার পদত্যাগ’, বিজেপি নেতাদের মুখে এই স্লোগান শোনা গেলেও শুধুমাত্র বিরোধীদের মধ্যেই আবদ্ধ থাকেনি এই স্লোগান। এবার পুলিশ মন্ত্রী -স্বাস্থ্যমন্ত্রী -মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগের দাবিতে ২৭ আগস্ট পথে নামছে ছাত্র সমাজ।গন্তব্য নবান্ন। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, শনিবার থেকেই নবান্ন সংলগ্ন সব এলাকা এমনকি, মূল প্রশাসনিক ভবনের ভিতরেও গোয়েন্দা নজরদারি সর্বোচ্চ পর্যায়ে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রশাসনের খবর, সেই অভিযানের দিন রাজ্য প্রশাসনের সদর দফতরের সুরক্ষায় বিপুল সংখ্যায় পুলিশ আসছে রাজ্যের প্রায় সব জেলা থেকে। বাড়ানো হয়েছে গোয়েন্দা তৎপরতাও।
২৬ আগস্টের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী স্বেচ্ছায় পদত্যাগ না করলে ২৭ আগস্ট নবান্ন অভিযানের পরিকল্পনা করা হয়েছিল । জল গড়িয়েছিল হাইকোর্ট থেকে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত ।তবে আদালত এ বিষয়ে কোনও হস্তক্ষেপ না করার নবান্ন অভিযানে আর কোনো বাধা রইল না ।তবে যে ক্ষোভের আগুন জ্বলছে তার আঁচ কতটা লাগে শাসকের সেটাই এখন দেখার। যদিও ইতিমধ্যে বামপন্থী ছাত্র ইউনিয়নদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে ২৭ এ তারা নবান্ন অভিযানে পা মিলাবে না।
নবান্নের নির্দেশ, পুলিশ সুপার, ডিসিপি বা কমান্ডান্ট পদমর্যাদার ১৩ জন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, এডিসিপি পদের ১৫ জন, ডেপুটি পুলিশ সুপার বা এসিপি পদের ২২ এবং ২৬ জন ইনস্পেক্টর নবান্ন অভিযান ঠেকাতে মোতায়েন থাকবেন। তাঁরা শিলিগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, নদিয়া, দুই মেদিনীপুর, হুগলি, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, ঝাড়গ্রাম, হাওড়া, সুন্দরবন এলাকা থেকে আসছেন। তার পাশাপাশি র্যাফ, ইএফআর, স্ট্রাকো বাহিনীর জওয়ান-সহ প্রায় ২১০০ পুলিশকর্মী নিযুক্ত থাকবেন। তার মধ্যে পর্যাপ্ত মহিলা পুলিশকর্মী মোতায়েনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সে দিন দায়িত্বে থাকা পুলিশকর্মীদের বয়স কম, তৎপর, বুদ্ধিমান এবং শারীরিক ভাবে সক্ষমও হতে হবে।
আগামী মঙ্গলবার কলেজ স্ট্রিট ও সাঁতরাগাছিতে দুপুর ১ টায় জমায়েত । তারপর পথ চলা শুরু হবে নবান্নের উদ্দেশ্যে।পুলিশ যে সর্ব শক্তি দিয়ে প্রতিবাদকারীদের আটকানোর চেষ্টা করবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।