মিজোরাম দূর্ঘটনার মধ্যেই আবার বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে বাংলার ৩ পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যু উত্তরপ্রদেশে
আগস্ট ২৬, ২০২৩
0
আপনার নিউজ ডেক্স রিপোর্ট:- মিজোরাম ব্রিজ দুর্ঘটনায় এই বাংলার ২৮ জন শ্রমিকের অকাল মৃত্যু হয়েছিল, সেই মৃত্যু নিয়ে কম রাজনীতি হয়নি এ বাংলায়, খোদ রাজ্যপাল স্বজন হারা সেই পরিবারগুলোর সাথে দেখা করেন এবং সরকারি অনুদান হাতে তুলে দেন। তার মাঝেই উত্তরপ্রদেশে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মারা গেলেন তিন পরিযায়ী শ্রমিক।
উল্লেখ্য,কাজ করতে উত্তরপ্রদেশে গিয়েছিলেন মুর্শিদাবাদের তিন রাজমিস্ত্রি। সেখানেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় তাঁদের। সূত্রের খবর অনুসারে প্রায় দুই মাস আগে উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদে রাজমিস্ত্রির কাজে গিয়েছিলেন এই তিন শ্রমিক। মৃত তিন শ্রমিকের নাম যথাক্রমে, শুভঙ্কর রায় (৩১),গোকুল মণ্ডল (৪৪) এবং ইসরাইল শেখ (৩৩)। স্থানীয় মানুষজনের কথা অনুসারে রোজকার সকালের মতো এদিনও এই তিন শ্রমিক কাজ করতে শুরু করেন,সেই সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন এই তিন শ্রমিক।
এইমাত্র একদিন আগেই সারি সারি মৃতদেহ এসে পৌঁছেছিল সুদূর মিজোরাম থেকে মালদা শহরে। বছরে প্রায় বহু সংখ্যক পরিচয়ে শ্রমিক বাংলার বাইরে রাজ্যগুলোতে কাজ করতে গিয়ে জীবন হারাচ্ছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার দীর্ঘ সময় ধরে বাংলা শাসন করছেন নানান ধরনের পরিকল্পনা এবং কর্মসূচি গ্রহণ করলেও আদতে কি এসব শ্রমিকরা বাংলায় তাদের কাজ পাচ্ছে? দেশের অন্য রাজ্যে এসব শ্রমিকদের কেন যেতে হয়, আসলে বাংলায় সমকাজে বেতন(পারিশ্রমিক) এর বৈষম্যতা রয়েছে। উদাহরণ হিসেবে যদি আমরা রাজমিস্ত্রি কাজের বিষয়টা উল্লেখ করি তবে পার্থক্যটা চোখে পড়বে, বাংলায় একজন শ্রমিক যিনি রাজনীতির কাজ করছেন তিনি দৈনিক ৩৬০ থেকে ৪০০ টাকা পেয়ে থাকেন, অথচ সেই শ্রমিক যখন রাজ্যে বাইরে কাজ করতে যাচ্ছে তখন তিনি দৈনিক ৭০০ থেকে ১০০০ টাকা পেয়ে থাকেন। বর্তমান বাজারে দ্রব্যমূল্যের দিকে লক্ষ করলে বোঝা যায় একজন সাধারণ শ্রমিক বাংলা কাজ করে তার সংসার ধারন করা সমস্যার জন্য তাকে বাইরে কাজ করতে যেতে বাধ্য হন।
এই শ্রমিক গুলো যাদের প্রাণ গেল সরকার থেকে হয়তো সেই পরিবারগুলোকে আর্থিক সাহায্য করবে ঠিকই, কিন্তু আদতে এ সমস্যার পূর্ণাঙ্গ সমাধান কি বাংলা শ্রমিক পাবেন?
Tags