মালদা;তনুজ জৈন;০৫ডিসেম্বর: বিশেষ গ্রাম সভা অধিবেশনে আবাস যোজনার ঘরের জন্য ব্লক ও পঞ্চায়েত আধিকারিকদের সামনে অভিযোগ জানাতে গিয়ে হাউমাউ করে কেঁদে ফেললেন বঞ্চিত উপভোক্তারা। জেলা শাসকের নির্দেশে হরিশ্চন্দ্রপুর ১ ও হরিশ্চন্দ্রপুর ২ ব্লকের ১৬ টা অঞ্চলে ছিল বিশেষ গ্রাম সভা।
এদিন রাজ্যের মন্ত্রী তাজমুল হোসেনের গ্রাম মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের গাঙ্গনদীয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বসে গ্রাম সভা। এই সভায় প্রায় অঞ্চলের প্রায় দুই শতাধিক মানুষ উপস্থিত ছিল। সভায় মূলত আবাস যোজনার তালিকা নিয়ে আলোচনা হয়। এই তালিকায় কারা ঘর পাওয়ার যোগ্য ও কারা অযোগ্য তা জনসাধারণের সামনে তুলে ধরেন ব্লক আধিকারিকরা। যোগ্য তালিকায় নাম না থাকায় অনেকেই অভিযোগ জানাতে গিয়ে আধিকারিকদের সামনে কেঁদে ফেলেন। সভায় উপস্থিত ছিলেন পঞ্চায়েত উন্নয়ন আধিকারিক বিল্টু সরকার, পঞ্চায়েত প্রধান মৌসুমী দাস ও পঞ্চায়েত সমিতি বিরোধী দল নেতা মকরম আলি ওরফে স্বপন আলি সহ পঞ্চায়েত সদস্যরা। গাঙ্গনদীয়া মসজিদ পাড়া গ্রামের বাসিন্দা জাহানারা বিবি পঞ্চায়েত উন্নয়ন আধিকারিককে অভিযোগ জানাতে গিয়ে হাউমাউ করে কেঁদে ফেলেন। তিনি বলেন,তিন মেয়ে ও স্বামী স্ত্রী সহ মোট পাঁচজনের পরিবার। উপরে টিন ও বাঁশের বেড়া দেওয়া কাঁচা ঘরে বসবাস করছি। স্বামী মানসিক ভারসাম্যহীন। আমার একটি হাত ভেঙে গিয়েছে। অর্থাভাবে ঘর করতে পারিনি। কয়েক বছর আগে পঞ্চায়েত আধিকারিকরা এসে ঘরের ছবি করে নিয়ে গিয়ে ছিল। তারপরেও নাম আসেনি।খুব কষ্টে দিন কাটছে। আমি আর কত গরীব হলে ঘর মিলবে। গাঙ্গনদীয়া গ্রামের বাসিন্দা মহম্মদ আলাউদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, ২০২২ সালে তালিকায় আমার নাম ছিল। দিনমজুর করে পাকা বাড়ি করেছি। সেই বাড়ি দেখে আমার নামটি তালিকা থেকে বাদ দিয়ে দিয়েছে