মালদা;তনুজ জৈন;১২ডিসেম্বর: রাজ্যে এতদিন শোনা যেত বিরোধী দল করার কারণে অনেকে বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প থেকে বঞ্চিত হয়। এমন অভিযোগ তুলত বিরোধীরা।কিন্তু আবাস যোজনার তালিকা থেকে নাম বাদ যাওয়ার পর একাংশ তৃণমূল কর্মীদের অভিযোগ তৃণমূল করার অপরাধেই তাদের নাম নেই। তারা যোগ্য উপভোক্তা। তাদের প্রত্যেকের কাঁচা মাটির বাড়ি।দিন আনে দিন খাওয়া পরিবার। সক্রিয় ভাবে তারা তৃণমূল করেন। বিভিন্ন মিছিল মিটিংয়ে যান। তাই আবাসের তালিকা থেকে তাদের নাম বাদ গেছে। এই নিয়ে ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারীকের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেন বঞ্চিত উপভোক্তারা।
তৃণমূলের অভিযোগ ওই এলাকায় বিজেপি এবং কংগ্রেসের পঞ্চায়েত সদস্য রয়েছেন। তারা সার্ভে অফিসারদের ভুল বুঝিয়েছেন। যদিও বিজেপির দাবি তৃণমূল কাটমানি ছাড়া কাউকে চেনে না।ওই কর্মীরা কাটমানি দিতে পারেনি তাই নাম নেই। মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের তুলসীহাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের বড়োল বাজারের ঘটনা। ওই এলাকায় একাংশ আবাসের উপভোক্তার অভিযোগ তারা বহুবার আবাসের জন্য আবেদন করেছেন। এর আগে তালিকায় তাদের নাম ছিল। আবাস প্লাসের সময় সার্ভে করতে আসে ব্লক প্রশাসনের প্রতিনিধিরা। কিন্তু তারপরেই তালিকা থেকে বাদ যায় তাদের নাম। এদিকে তাদের প্রত্যেকের কাচা বাড়ি।দারিদ্রসীমার নিচে বসবাস করেন। দিনমজুরি করে চলে সংসার। তাদের অভিযোগ তারা প্রত্যেকে সক্রিয় তৃণমূল কর্মী। সেই অপরাধে তালিকা থেকে তাদের নাম বাদ গেছে। কিন্তু এলাকায় যাদের পাকা বাড়ি রয়েছে। তাদের নাম রয়েছে তালিকায়।ঘরের দাবিতে হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লক দপ্তরে গিয়ে ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক সৌমেন মন্ডলের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তৃণমূল পরিচালিত রাজ্যে রাজ্য সরকারের যোজনায় তৃণমূল করার অপরাধে কর্মীদের তালিকা থেকে নাম বাদ যাওয়ার অভিযোগ নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি তারা সব সময় চাইছেন যাতে দুঃস্থ মানুষেরা ঘর পায়।কিন্তু যে এলাকার উপভোক্তারা অভিযোগ করছেন সেই দুটি বুথে বিজেপি এবং কংগ্রেসের সদস্য রয়েছে। যারা সঠিক ভাবে মানুষের খোঁজখবর রাখেন না। সার্ভের সময় প্রতিনিধিদের ভুল বুঝিয়ে ছিলেন। তাই এই সমস্যার সৃষ্টি। যদিও পাল্টা বিজেপির দাবি তৃণমূল পরিচালিত প্রশাসনে সমস্তটাই তৃণমূলের দ্বারা হয়। তৃণমূল শুধু বিরোধী কেন নিজেদের কর্মীর জন্য ভাবেনা। নিশ্চয়ই ওই গরিব মানুষগুলো কাটমানি দিতে পারেনি বলে তালিকা থেকে নাম বাদ গেছে। শুরু রাজনৈতিক তরজা।