রায়গঞ্জ, ৪ নভেম্বর: শারদোৎসব শেষ। দীপাবলিও শেষ। এবার কুলিকের পরিযায়ী পাখিদের ঘরে ফেরার পালা শুরু হবে। বিভিন্ন শীতপ্রধান অঞ্চল থেকে লক্ষাধিক পাখি এবছর কুলিকে আশ্রয় নিয়েছিল বলে বন দপ্তর সূত্রে জানা গেছে। পাখির কোলাহলে কার্যত মুখরিত ছিল সমগ্র কুলিক ফরেস্ট চত্বর।
পরিবেশ ঠিক থাকলে আগামীতে কুলিকে আসা পাখির সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশাবাদী বন দপ্তর। প্রতি বছর কুলিক বনাঞ্চলে মে-জুন মাস থেকেই পরিযায়ী পাখিদের আনাগোনা শুরু হয়। মূলত শামুকখোল পাখিটিই সব থেকে বেশি সংখ্যায় দেখা যায়। তবে এর পাশাপাশি ইগ্রেট, ওপেন বিল স্টক ইত্যাদি পাখিরও দেখা মেলে। উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জের ঠিক পাশেই কুলিক পক্ষীনিবাসে রয়েছে ওয়াচ টাওয়ার যেখানে উঠে পর্যটকরা পাখিদের ডাক শুনতে পান এবং পাখিদের দেখতেও পান। ফটোগ্রাফির প্রতি যাদের আগ্রহ তারা তো রীতিমতো পক্ষীকুলের ছবি তুলে তা বাঁধিয়ে রাখেন। প্রত্যেক গাছে শতাধিক পাখির বসবাস থাকে। আর তার ঠিক পাশেই রয়েছে কুলিক নদী। ফলে জল ও খাবারের অভাব হয় না পাখিদের।
মূলত অগাস্ট থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে তাদের ডিম ফুটে বাচ্চা বের হয়। কিছুদিনের মধ্যে তাদের উড়তেও শেখানো হয়। এখন সেই উড়ে যাওয়ার সময়ই আসতে চলেছে। তবে পাখির কলতানে সবাই যেমন মুগ্ধ হন তেমনই পাখির মলমূত্রের দুর্গন্ধে এলাকাবাসীর জীবন হয়ে দুর্বিসহ।