মালদা;তনুজ জৈন;১১নভেম্বর: ট্যাব দুর্নীতি নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে ছিল যে স্কুলে। সেখানেই এবার কলুষিত শিক্ষাঙ্গন। ঠিক যে সময় ট্যাব দুর্নীতি কান্ড নিয়ে স্কুলে তদন্তে রয়েছেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা। সেই সময় স্কুলের অফিস ঘরের পাশে একটি আলমারির তল থেকে উদ্ধার হয় মদের বোতল। সেই ছবি ধরা পরে সংবাদ মাধ্যমের ক্যামেরায়। তারপরেই ছড়িয়ে পড়ে তুমুল উত্তেজনা। অন্যদিকে তদন্তের পর প্রধান শিক্ষককে তলব জেলায়। তদন্ত নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ প্রশাসনিক আধিকারিকরা।
এদিন দিনভর টানটান উত্তেজনা দেখা গেল মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের কনুয়া ভবানীপুর হাই স্কুলে। ট্যাব দুর্নীতি কাণ্ডে শিরোনামে উঠে এসেছিল এই স্কুল। ৩৪ জন পড়ুয়ার ট্যাবের টাকা ঢুকে গেছিল অন্য একাউন্টে। অভিযোগ উঠেছিল প্রধান শিক্ষক রাজা চৌধুরীর বিরুদ্ধে। তবে শুধু এই স্কুল নয়।গাজোল এবং হবিবপুরের দুই হাইস্কুলেও একই অভিযোগ ওঠে। জেলা জুড়ে মোট ১৫০ জন পড়ুয়ার টাকা ঢুকে যায় অন্য একাউন্টে। জেলার স্কুল পরিদর্শক এই নিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। জেলাশাসক নিতিন সিঙ্গাানিয়া নির্দেশ দেন তদন্তের। তারপরেই এদিন মহকুমা শাসক সৌভিক মুখার্জী এবং স্কুল পরিদর্শক শর্মিলা ভট্টাচার্য ট্যাব দুর্নীতি কান্ড খতিয়ে দেখতে স্কুলে আসেন। সাথে ছিলেন চাঁচল মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সোমনাথ সাহা, হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি মনোজিৎ সরকার সহ জেলা শিক্ষা দপ্তরের আধিকারিকরা।
তখন বিক্ষোভ দেখান হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লক পঞ্চায়েত সমিতির জোট পরিচালিত পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ। কাঠগড়ায় দাড় করান প্রধান শিক্ষককে। অন্যদিকে প্রধান শিক্ষক সমস্ত দায়ী দেন ক্লার্কের উপর।তারপর তদন্ত চলাকালীন ঘটে এই ঘটনা। আলমারির নিচ থেকে উদ্ধার হয় মদের বোতল। যদিও প্রধান শিক্ষক রাজা চৌধুরী কোন মন্তব্যই করতে চাননি। স্কুলের আরেক সহ শিক্ষক শাহীন আক্তার যিনি আবার তৃণমূল পরিচালিত চাঁচল ১ নম্বর ব্লক পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ। তিনি রীতিমতো মেজাজ হারিয়ে তেড়ে আসেন সংবাদ মাধ্যমের দিকে।মদের বোতল উদ্ধারকে চক্রান্ত বলে দাবি করেন। তদন্ত থেকে বেরোনোর পথে মহকুমা শাসক জানান এই মুহূর্তে তদন্ত চলছে। মদের বোতল উদ্ধারের বিষয় নিয়ে পুলিশকে বলা হয়েছে। তার বেশি এখন কোন মন্তব্য করা সম্ভব নয়। অন্যদিকে প্রধান শিক্ষক এবং স্কুল পরিদর্শক মুখে কুলুপ আটেন।