মালদা;তনুজ জৈন;১০নভেম্বর: অল ইন্ডিয়া ইমাম অ্যাসোসিয়েশনের ডাকে মহকুমা সদর এলাকায় হাইকোর্টে ওবিসি কোটা বাতিল সহ কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে বিরাট জনসভা। সেই জনসভা কে কেন্দ্র করে মিছিলেও পরিলক্ষিত হল শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। জেলা পরিষদ সদস্যের নেতৃত্বে সেই মিছিলে কার্যত জনজোয়ার।প্রায় দশ হাজার লোক এবং শতাধিক গাড়ি নিয়ে মহামিছিল। তৃণমূলের জেলা পরিষদ সদস্যের সঙ্গে উপস্থিত থাকলেন তার ঘনিষ্ঠ স্থানীয় অনেক তৃণমূল নেতৃত্ব।তবে স্থানীয় বিধায়ক এবং রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী সহ অনেক হেভিওয়েট তৃণমূল নেতাকে দেখা গেল না এই মিছিলে। যদিও দলীয় সূত্রে দাবি এটা তৃণমূলের অনুষ্ঠান নয়। তাই কে যাবে বা কে যাবে না সেটা তাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার। তবে তৃণমূল মুখে সেটা দাবি করলেও ভেতরে থেকে যাচ্ছে চাপা অস্বস্তি।এই নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিরোধীরা।
বিরোধীদের দাবি যারা নিজেদের নেতাদের একসঙ্গে নিয়ে চলতে পারে না। সম্পূর্ণ সংখ্যালঘু সমাজকে নিয়ে তারা কোন দিনও চলতে পারবে না।সংখ্যালঘুরা আর তৃণমূলের সঙ্গে নেই। প্রসঙ্গত রবিবার মালদার চাঁচল সদরে পাঞ্চালি মাঠে অল ইন্ডিয়া ইমাম অ্যাসোসিয়েশনের ডাকে একটি জনসভা হয়। যে জনসভা সরাসরি তৃণমূলের না হলেও তার আয়োজনে রয়েছে স্থানীয় তৃণমূল নেতারা। অন্যতম উদ্যোক্তা জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক সামিউল ইসলাম, জেলা পরিষদ সদস্য দাপুটে নেতা বুলবুল খান। হরিশ্চন্দ্রপুরের এই দাপুটে নেতা হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকা থেকে এই জনসভা উপলক্ষে সদর পর্যন্ত এক বিশাল মিছিল বের করেন।যেখানে সংখ্যালঘুরা সহ সমাজের বিভিন্ন স্তরের প্রায় দশ হাজার মানুষ ছিল। প্রত্যেকেই জানান তারা বুলবুল খানের ডাকে এসেছেন।এমনকি বুলবুল অনুগামী অনেক তৃণমূল নেতারা ছিলেন এই মিছিলে। কিন্তু দেখা যায়নি স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী তাজমুল হোসেনকে। দেখা মেলেনি জেলা পরিষদ সদস্য মর্জিনা খাতুনেরো।সেখান থেকেই জল্পনা শুরু হয়েছে নতুন সমীকরণ নিয়ে। কারণ বিগত লোকসভায় হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকায় সংখ্যালঘু ভোট তৃণমূলের বিরুদ্ধে গেছিল। মূলত কংগ্রেস সিপিএম জোটের পক্ষে গেছিল সংখ্যালঘুরা। সেই আবহে বিধানসভার আগে ইমামদের সভাতে বুলবুলের নেতৃত্ব সংখ্যালঘুদের এই মহা মিছিল নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। ইতিমধ্যেই জেলা তৃণমূলে ব্যাপক রদবদলের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। তার মাঝে আজকের এই মিছিল নিয়ে জেলা রাজনীতিতে তুমুল চর্চা।তবে কি সম্ভাব্য মুখ হিসেবে উঠে আসছেন বুলবুল খান। যদিও তৃণমূল নেতৃত্ব এ নিয়ে কিছু বলতে চাননি। বুলবুল বাবুর দাবি ইমামদের সভাতে তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।তিনি সেই দায়িত্ব পালন করছেন। কে কেন আসেনি সেটা আমি বলতে পারব না। তার অনুগামী মকরম আলীর দাবি বুলবুল খানের ডাকে প্রত্যেকেই যাবে।যদিও অন্যদিকে কংগ্রেস নেতা শেখ খলিলের দাবি তৃণমূল বিজেপির বি টিম। সংখ্যালঘুরা সেটা বুঝতে পেরেছে। তাই তাদের সঙ্গে সংখ্যালঘুরা আর নেই। সমগ্র ঘটনায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।