Type Here to Get Search Results !

CBI 'সন্দীপ ঘোষ' দুর্নীতির তদন্তে তৎপর! কোন পথে নির্ভয়ার বিচার?


আপনার নিউজ ডেক্স:- রবিবার সকাল থেকে সিবিআই তৎপর হয়ে উঠেছে সন্দীপ ঘোষ দুর্নীতি মামলার তদন্তে। প্রাক্তন অধ্যক্ষের বাড়ি থেকে শুরু করে নিকটবর্তী আত্মীয় এবং ঘনিষ্ঠদের বাড়িতে তল্লাশি শুরু করেছে। মহামান্য আদালতের নির্দেশে 'সন্দীপ ঘোষ' দুর্নীতি তদন্ত এখন সিবিআই এর হাতে। আরজি কর তরুণী চিকিৎসক হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ১৫ দিন অতিক্রান্ত হয়ে গেছে। তদন্তে কতদূর অগ্রগতি তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। 


আরজি করের প্রাক্তন ডেপুটি সুপারিন্টেন্ডেন্ট (নন মেডিকেল) আখতার আলির অভিযোগের ভিত্তিতেই এবার হাইকোর্টের নির্দেশে দুর্নীতির তদন্তে নেমেছে সিবিআই। আপতত সিবিআই-এর মূল লক্ষ্য সন্দীপ ঘোষের দুর্নীতি?  সাতসকালেই সন্দীপ ঘোষের বাড়িতে পৌঁছে যায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকেরা। হানা দেয় সন্দীপ ঘনিষ্ঠ ফরেন্সিক মেডিসিনের চিকিৎসক দেবাশিস সোমের বাড়িতেও। এবার এন্টালিতে আরজি করের প্রাক্তন সুপার সঞ্জয় বশিষ্ঠের বাড়িতেও পৌঁছে গেল সিবিআইয়ের টিম। বাড়ি ঘিরে ফেলে সিআইএসএফের জওয়ানরা। এই সঞ্জয়েরও আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপের ঘনিষ্ঠ বলে শোনা যায়। এদিন সকাল পৌনে আটটা নাগাদ সিবিআইয়ের সাত সদস্যের দল আসে সঞ্জয়ের বাড়িতে। 


অন্যদিকে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে কর্তব্যরত চিকিৎসক-পড়ুয়াকে খুন এবং ধর্ষণের ঘটনা ঘিরে তদন্তের গতিপ্রকৃতি এখন এমনই, যা নিয়ে নানা মহলে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে— আর কত দিন কাটলে তবে যুক্তিযুক্ত উত্তর সামনে আসবে? প্রশ্ন তুললেন খোদ মৃতার মা-ও। শনিবার তিনি বললেন, ‘‘আর কত সময় লাগবে? আমার মেয়ে কি বিচার পাবে না? এত দিন কেটে গেল, পুলিশ বা সিবিআইয়ের কেউই তো বিচার পাইয়ে দিতে পারল না।’’ একই সঙ্গে তাঁর প্রশ্ন, ‘‘তবে কি এতটাই বড় কোনও প্রভাবশালীর হাত রয়েছে আমার মেয়ের খুনের পিছনে? আন্দোলনে আমিও রাস্তায় নামব।’’


আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের প্রশ্ন, আরজি করের ঘটনার পরে ১৬ দিন পেরিয়ে গেলেও কেন নিশ্চিত ভাবে জানা গেল না যে, ওই সেমিনার রুমেই তরুণীর মৃত্যু হয়েছিল, না কি অন্য কোথাও? মৃতার পরিবারেই প্রশ্ন, ‘‘মেয়ের চুল পরিপাটি করে রাখা ছিল। কপালের উপরে হাতটা এমন ভাবে রাখা ছিল, যা এক ঝলক দেখলে মনে হয়, কেউ ঘুমোচ্ছে! যাকে ধর্ষণ ও খুন করা হবে, সে কি ওই ভাবে হাত কপালে রেখে ঘুমিয়ে থাকবে? তা ছাড়া মেয়ের সে রাতের বিছানার নীচ দিয়ে বিদ্যুতের তার গিয়েছে দেখলাম। কেউ কি বিদ্যুতের তারের উপরে বিছানা পেতে শুয়ে থাকবে?” তাঁরা বলেন, “মেয়ের মাথার কাছে ওর ডায়েরির পাতা পড়ে থাকা, পরিপাটি করে ওর জুতো সাজিয়ে রাখা দেখে তো মনে হচ্ছে, সবটাই সাজানো।”


Tags

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad

Top Side