আপনার নিউজ ডেক্স:- এযেনো এক বিচিত্র দেশ। জাতীয় সম্পদ লুণ্ঠন করছেন সাধারণ জনগণ নির্বিচারে। ক্ষমতাচ্যুত হয়েছে সরকার, দেশটির দখল নিয়েছে সেনা। তবে বাংলাদেশে গণমাধ্যমের খবর অনুসারে সেনা কিংবা আন্দোলনকারী ছাত্রদের আওতা থেকে বেরিয়ে গেছে বর্তমানে সমস্যা। দেশটির বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানে গতকাল থেকে চলছে লুটপাট। প্রথম আলোর প্রতিবেদন অনুসারে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানা-পুলিশের সদস্যরা সেখান থেকে পুলিশ লাইনসে চলে গেছেন। গতকাল সোমবার রাত স্থানীয় সময় পৌনে নয়টার দিকে একযোগে থানা এলাকা ছেড়ে যান তাঁরা। আজ মঙ্গলবার সকাল বাংলাদেশের স্থানীয় সময় সাড়ে ১০টা পর্যন্ত সেখানে লুটপাট অব্যাহত আছে। বস্তা ও ব্যাগে লুন্ঠিত জিনিসপত্র নিয়ে পালাচ্ছে জনগণ।
দেশটির গণমাধ্যমের খবর অনুসারে, গতকাল বেলা দেড়টার দিকে বিক্ষুব্ধ জনতা সদর থানা ঘেরাও করে হামলা চালায়। তারা সদর থানার বাইরে রাখা দুটি পিকআপ ও একটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ সময় প্রধান ফটক ভাঙার চেষ্টা ও পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন মাইকে ঘোষণা দিয়ে বিক্ষুব্ধ জনতাকে ফিরে যাওয়ার আহ্বান করেন। কিন্তু দুপুর থেকে তারা থানার সামনে ও ঘোড়াপট্টি সেতুর ওপর অবস্থান নেয়। ক্রমাগত আন্দোলনের ঝাচ বৃদ্ধি করেন স্থানীয়রা।
পরবর্তীতে বিকেল সাড়ে চারটার দিকে আবার থানা ঘেরাও করে পুলিশ সদস্যদের থাকার পাকা ঘরে অগ্নিসংযোগ করা হয়। একপর্যায়ে থানার প্রধান ফটকের ভেতরে থাকা একটি কাভার্ড ভ্যানে আগুন ধরিয়ে সীমানাপ্রাচীর ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে বিক্ষুব্ধ জনতা। তারা থানার ওসির থাকার কক্ষে ভাঙচুর ও আগুন দেওয়ার পাশাপাশি লুটপাট চালায়। এ সময় পুলিশ রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে। পৌনে ছয়টার দিকে সেনাবাহিনী তিনটি টহল দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। পরে সন্ধ্যা সাতটা থেকে সাড়ে সাতটার দিকে বিক্ষুব্ধ জনতা থানার প্রধান ফটক ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। ওই সময় ওসি, পুলিশ পরিদর্শক, এসআই, ডিউটি অফিসারসহ পুলিশ সদস্যদের প্রায় ২০টি যানবাহন ও থাকার কক্ষের পাশাপাশি পাশের ট্রাফিক পুলিশের কার্যালয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এতে পুরো থানার নিচতলা, দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলার সব কক্ষ পুড়ে গেছে।